পাকিস্তানের করাচিতে একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে করাচির লিয়ারি এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত অংশে ভবনটি ধসে পড়ে।
পাকিস্তানের সরকারি উদ্ধার পরিষেবা রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র হাসান খান বলেন, ‘রোববার (৬ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অধিকাংশ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আশা করছি আজই সম্পূর্ণ উদ্ধার অভিযান শেষ করতে পারব।’
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্স বাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ক্রেন ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ২০১৯ সালে ভবনটি নির্মাণের সময় থেকেই নকশা ও নির্মাণে অসংগতি ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাসিন্দাদের সরে যেতে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে ভবনের মালিক ও কয়েকজন বাসিন্দা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সরকারি নোটিশ পাইনি। হঠাৎ করেই ভবনটা কেঁপে উঠল এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধসে পড়ল।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভবনটি ধসে পড়ার সময় একটি বিকট শব্দ হয়, যা আশপাশের এলাকা কাঁপিয়ে দেয়।