রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ১০:১০ এএম

অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েব

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ১০:১০ এএম

অর্ধশত কোটি টাকার  ফাইল গায়েব

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্প ফাইল গায়েব হওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং বদলি করেই ঘটনাটি ‘চাপা’ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করে একটি জিডি দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পেছনে রয়েছেন তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম। অভিযোগ রয়েছে, তারা দু’জনই পরস্পরের পরামর্শে ফাইল গায়েবের নাটক সাজিয়ে থানায় জিডি করেন।
জানা গেছে, ঘটনার পর আবদুর রাজ্জাককে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে একই পদে বদলি করা হয়। পারভীন বেগমকেও ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বদলি করা হয় লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। কিন্তু মাত্র সাত মাসের মাথায় আবারও তাকে ২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়, যেখানে ফাইল গায়েবের ঘটনাটি ঘটেছিল!
স্থানীয় সূত্র বলছে, আবদুর রাজ্জাক ছিলেন তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ। রাজনৈতিক এই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে তিনি ২০২১ সালে কালীগঞ্জে যোগদান করেন এবং পরে মন্ত্রী, তার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভাতা ও অনুদান দেওয়ার কাজে সরাসরি জড়িত ছিলেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ৬ আগস্টের ঘটনায় অফিসে ঢুকে কেবল একটি ছবিতে আগুন দেওয়া হয়, অন্য কোনো নথিপত্র নষ্ট হয়নি। তদন্তে দেখা গেছে, ফাইল হারানোর বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ, অনুদান, ভাতা, অনুমোদন সংক্রান্ত যে নথিগুলোতে মন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম রয়েছে, সেগুলো দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই গায়েব করা হয়েছে। দীর্ঘ আট মাসে দুদক, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় কিংবা সমাজসেবা অধিদপ্তর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু বদলিই তাদের একমাত্র ‘বিচার’। লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘তদন্তে দেখা গেছেÑ এই দুই কর্মকর্তা নিজেদের দায় এড়াতে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিরতরে গায়েব করতে ফাইল হারানোর জিডি সাজিয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগীয় পরিচালক জিলুফা সুলতানার কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অর্ধশত কোটি টাকার সরকারি ফাইল গায়েব হয়ে গেল, অথচ শাস্তি হলো না, এ কেমন বিচার?’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!