সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

ধর্ষণের পর হত্যা করে সেপটিক ট্যাঙ্কে নারীর লাশ গুম করে রোহান: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলার ঘটনায় রোহানকে আটক করে পুলিশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলার ঘটনায় রোহানকে আটক করে পুলিশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে সংস্থাটি। 

এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত রোহান (২৫) তারাকান্দা উপজেলার আলাল মিয়ার ছেলে। রোহান এ ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। 

রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার।

ছাগল বিক্রি করতে এসে নিখোঁজ হন সুফিয়া

পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন সুফিয়া খাতুন ছাগল বিক্রির জন্য তারাকান্দা বাজারে যান। সেদিন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ৩ জুলাই সকালে তারাকান্দার তাকনী দাদরা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করে।

মামলার পর তদন্তে নামে পিবিআই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার সকালে ফুলপুর উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকা থেকে রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওড়না প্যাঁচিয়ে গলা চেপে হত্যা

পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহান হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে জানায়, তার সঙ্গে সুফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৯ জুন ছাগল বিক্রির পর ৪ হাজার টাকা নিয়ে সুফিয়া রোহানের সঙ্গে দেখা করে। তারা একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করে এবং পরে কাকনী ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুফিয়া রোহানকে চড় মারলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে তার গলা চেপে ধরে হত্যা করে।

হত্যার পর রোহান লাশটি পাশের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রেখে সুফিয়ার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তার দেখানো মতে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পিবিআই’র পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত রোহানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!