ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

আল-আরাফাহ্ ব্যাংকে ৮৬৪ জন কর্মকর্তার নিয়মিতকরণ সম্পন্ন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১২:৫৯ এএম

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সাম্প্রতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, যা অভ্যন্তরীণ ও বহিস্থ অডিট রিপোর্ট এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়।

মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৮৬৪ জন কর্মকর্তা নির্ধারিত মান অর্জন করে নিয়মিতকরণের মাধ্যমে স্থায়ী চাকরির নিরাপত্তা লাভ করেছেন। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২১ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ যাচাই ও মেধা মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর উদ্দেশ্য ছিল কর্মপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, সাম্য ও নীতিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।

এই মূল্যায়নে মোট ১ হাজার ৪১৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), যা একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মেধা যাচাইয়ের মানদ- হিসেবে কাজ করে। মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৮৬৪ জন কর্মকর্তা নির্ধারিত মান অর্জন করে নিয়মিতকরণের মাধ্যমে স্থায়ী চাকরির নিরাপত্তা লাভ করেছেন। অন্যদিকে, ৫৪৭ জন কর্মকর্তা মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে না পারায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ব্যাংকের চাকরিবিধি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সম্মানজনক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রাপ্য সব সুবিধা, ছাড়পত্র ও অভিজ্ঞতা সনদ যথাযথভাবে সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছে যে, এই স্বচ্ছ ও আইনসম্মত প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে কিছু সাবেক কর্মকর্তা ও বহিরাগত গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।

আন্দোলনের নামে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা হচ্ছে, যা ব্যাংকিং খাত এবং জাতীয় অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ব্যাংক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠানের ভিত মজবুত করে। প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তিতে এই উদ্যোগ ব্যাংকের নেতৃত্বে জবাবদিহি ও মানবিক মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করেছে। সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছে, তারা যেন এই প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করেন, যাতে ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।