জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ডা. শফিকুর রহমানের হার্টের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টায় ডা. শফিকুর রহমানকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। ওনার সার্জারি খুব ভালো হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম তাকে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্জারি করতে, সেটা পেরেছি। ওনার তিনটা বাইপাস করার কথা ছিল। আমরা চারটা বাইপাস করেছি যেন কোনো দিক থেকেই কোনো সমস্যা না হয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই সার্জারি শেষ হয়েছে।’ ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি হাসপাতালের ডা. শহিদ আলম চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চে দুবার ঢলে পড়েন শফিকুর রহমান। পাশে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। কিছুক্ষণ পর মঞ্চে ডায়াসের পাশে পা মেলে বসে বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশ শেষে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা না পড়ায় পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। এরপর ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করলে আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে।