পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে জনবল এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রতি মাসে হাজারো নারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় কার্যত সেবা কার্যক্রম বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও কর্মী সংকটও স্বাস্থ্যসেবাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকও নিয়মিত অফিস করেন না।
মঠবাড়িয়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১৮০টি পদের বিপরীতে ৮৩টি পদ বর্তমানে শূন্য। এর মধ্যে সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১ জনের বিপরীতে ১ জন আছেন; উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৯ পদের বিপরীতে ৭ জন, ফার্মাসিস্ট ৬ পদের বিপরীতে ৫ জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৪ পদের বিপরীতে ২ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১৩ পদের বিপরীতে ১০ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৬০ পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ৯ পদের বিপরীতে ৬ জন এবং আয়া ১২ পদের বিপরীতে ৮ জন কর্মরত আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে শূন্যতা বিদ্যমান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং উপকরণ বিতরণের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন পরিবার কল্যাণ সহকারী থাকার কথা। এসব কর্মী সপ্তাহে চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের সঙ্গে আলোচনা ও সামগ্রী বিতরণ করার কথা। কিন্তু ওষুধ ও উপকরণের ঘাটতির কারণে অনেকে নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন না। আবার যারা যাচ্ছেন, তারাও বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বা বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া আক্তার রূপা বলেন, ‘আমাদের এখানে জনবলসংকট রয়েছে। পাশাপাশি গত ছয় মাস ধরে কোনো ওষুধ পাইনি।’
এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ছয় মাস ধরে ওষুধের সংকট চলছে। কিছু জনবলসংকটও রয়েছে। তবে এ সমস্যা শুধু আমাদের জেলায় নয়, দেশের অন্য জেলাতেও একই অবস্থা।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন