রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি হলে ইউক্রেনের জমিতে বড় একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, এই বাফার জোন নিয়ে পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা হচ্ছে। বাফার জোনটি হবে একটি বৃহৎ নিরস্ত্রীকৃত এলাকা। যার সীমানা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে সেটি বর্তমান ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হবে। এবং এটিই আলাদা করবে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় ভূখ-কে। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই এলাকা নিরাপত্তা দেবে এমন বাহিনী হতে পারে এক বা একাধিক অ-ন্যাটো দেশের সেনাবাহিনী। তালিকায় আছে সৌদি আরব বা বাংলাদেশের নাম।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির বরাতে রয়টার্স বলছে, এই বাফার জোনের নেতৃত্বে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত আছেনÑ এমন চার কর্মকর্তার বরাতে গত শুক্রবার সংবাদটি প্রকাশ করে এনবিসি নিউজ। খবরে বলা হয়, বাফার জোনটি রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেবে। আর বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে সেখানে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মতো ন্যাটোবহির্ভূত দেশের সেনাদের মোতায়েন করা হতে পারে।
যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ইতি ঘটানো কিংবা দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে বৈঠকে বসানোর ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হতাশা ক্রমে বাড়ছে বলে এনবিসির খবরে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাফার জোন হলো দুটি সংঘাতময় বা সংবেদনশীল এলাকার মধ্যে অবস্থিত একটি নিরপেক্ষ বা নিয়ন্ত্রিত এলাকা, যা উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত বা নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই বৈঠকের পর যুদ্ধে ইতি টানা কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক বার্তা পুতিনের কাছ থেকে আসেনি। প্রকাশ্যে খুব কম দেশই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ইউক্রেনে স্থলসেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর নেতারা চাইছেন ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে। এ পদক্ষেপে ট্রাম্পকেও সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানাতে চান তারা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন