পাকিস্তানকে প্রবল বন্যার সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারত। সাতলেজ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং আরও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে নতুন করে মৌসুমি বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। বার্তা সংস্থা আনাদোলু রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশন পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছে, সাতলেজের পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের দিকে স্রোত নেমে আসছে, যা নিম্নাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনবে। যদিও এই বার্তা সরাসরি সিন্ধু নদ চুক্তির (১৯৬০) অধীনে পাঠানো হয়নি। ভারত চলতি বছরের এপ্রিলে কাশ্মীরে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার স্থগিত রেখেছে।
পাঞ্জাব প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) নদী-তীরবর্তী এলাকার বাঁধ মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এদিকে, মুলতান অঞ্চলে তিনটি বাঁধ ভেঙে অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিরওয়ালা শহর। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মানুষ কোমরসমান পানিতে নিত্যপণ্য হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা নৌকায় করেও বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে শনিবার মুলতানে একটি উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন নিহত হন।
পিডিএমএর মহাপরিচালক ইরফান আলি কাঠিয়া জানিয়েছেন, শুধু পাঞ্জাবে ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুনের শেষ দিক থেকে বর্ষা ও বন্যায় ৯০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় আবারও ভারি বর্ষণ শুরু হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন