গাজা শহরে রোববার আরও একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভবনটির নাম আল-রুয়া টাওয়ার। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টি বহুতল ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় আরও ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন উত্তর গাজায় নিহত হন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচতলা বিশিষ্ট আল-রুয়া টাওয়ারে ২৪টি ফ্ল্যাট ছাড়াও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, একটি ক্লিনিক ও জিম ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো ওই ভবন ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল।
ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া বলেন, ‘আজ শত শত পরিবার তাদের আশ্রয় হারিয়েছে। ইসরায়েল এসব বিস্ফোরণের মাধ্যমে মানুষকে দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাইছে। কিন্তু সবাই জানে, দক্ষিণেও কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।’
এ হামলার আগে শুক্রবার ১২ তলা মুশতাহা টাওয়ার ও শনিবার ১৫ তলা সউসি টাওয়ার ধ্বংস করে ইসরায়েল। সেই টাওয়ারগুলোর পাশে তাঁবুতে থাকা বহু ফিলিস্তিনি আহত হন। এক পরিবার জানায়, ‘আমাদের কিছুই বাকি নেই। শুধু প্রাণ হাতে নিয়ে বের হতে পেরেছি।’
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসিকে তথাকথিত ‘মানবিক নিরাপদ এলাকা’ দাবি করছে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে বারবার হামলা চালানো হয়েছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, গাজা শহরে প্রতি পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানকার সাবরা, জেইতুন ও শেখ রাদওয়ান এলাকায় ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ ও সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।
রোববার আল-ফারাবি স্কুলে হামলায় শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আয়েদ জানান, স্কুলে দুটি রকেট আঘাত হানে। এখনো ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন