বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমান অভিযান, দ. কোরিয়া–জাপানে উত্তেজনা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ শনাক্তকরণ অঞ্চল কাডিস-এ সাতটি রাশিয়ান ও দুটি চীনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করায় সিউল জরুরি ভিত্তিতে নিজেদের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এরই মধ্যে চীন-জাপান কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলমান থাকায় এই ঘটনা নতুন করে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

দ. কোরিয়ার দাবি

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর বিমানগুলো উপদ্বীপের পূর্ব ও দক্ষিণ উপকূলঘেঁষা অঞ্চলে প্রবেশ করলেও তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌম আকাশসীমায় ঢোকেনি। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী যুদ্ধবিমান পাঠায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা ও রাশিয়ান বিমানগুলো কাডিস-এ ঢোকার আগেই নজরে আসে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে ‘স্ট্যান্ডার্ড স্ক্র্যাম্বল অপারেশন’ পরিচালিত হয়।

রাশিয়ার ব্যাখ্যা

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপান সাগর, পূর্ব চীন সাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর তাদের কৌশলগত বোমারু ও যুদ্ধবিমান প্রায় আট ঘণ্টা টহল দিয়েছে।

মস্কোর দাবি, অভিযান সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে ছিল এবং কোনো দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়নি।

জাপানের আকাশেও চীন-রাশিয়ার তৎপরতা

একই সময় জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, রাশিয়ার দুইটি পারমাণবিক সক্ষম টু-৯৫ বোমারু পূর্ব চীন সাগরে গিয়ে চীনা এইচ-৬ বোমারুর সঙ্গে যুক্ত হয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে দীর্ঘ রুটে যৌথ ফ্লাইট পরিচালনা করে।

অভিযানের দ্বিতীয় ধাপে চারটি চীনা জে-১৬ ফাইটার ওই গ্রুপে যোগ দেয়।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এক্স-এ পোস্ট করে বলেন, এটি ‘জাপানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের স্পষ্ট ইঙ্গিত’ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

জাপান আরও জানিয়েছে, একই সময়ে জাপান সাগরে পৃথকভাবে রাশিয়ার এ-৫০ আকাশ সতর্কতা বিমান ও দুটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তাদের আকাশ শনাক্তকরণ অঞ্চলে রাশিয়ার সাতটি ও চীনের দুটি বিমান ঢোকার ঘটনা বৃহত্তর আঞ্চলিক সামরিক কার্যক্রমের অংশ।

চীন-রাশিয়া সামরিক ঘনিষ্ঠতা 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই যৌথ সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে- রাশিয়ার ভূখণ্ডে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে লাইভ-ফায়ার নৌ মহড়া পর্যন্ত।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ঘোষণা করেছে, যেখানে পূর্বের তুলনায় রাশিয়া ও চীনের নাম উল্লেখ কম থাকলেও এশিয়ার মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে- বিশেষ করে তাইওয়ান রক্ষায় সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা, চীন–জাপান বিরোধ এবং চীন–রাশিয়ার সমন্বিত ফ্লাইট- সব মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার আকাশ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

Link copied!