মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেম নগরের রহস্যে ঘেরা একটি বাংলোবাড়ি এখন থানা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজরদারিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সাবেক সেনা সদস্য আনোয়ারকে সরকারি খাস জমিতে কোটি টাকার এই বাংলোবাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী ২৬ বছর বয়সী সুনামগঞ্জের যুবক হাসান আহমদ।
স্থানীয় যুবসমাজ অভিযোগ তুলেছেন, ওই বাংলোবাড়িতে সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা, নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং অসামাজিক আড্ডা বসে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি, ওসি (তদন্ত) ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বাংলোবাড়িটি পরিদর্শন ও অভিযোগের তদন্তে গেলে স্থানীয় লোকজন বাড়িটি ঘিরে বিক্ষোভ করেন। তারা অপরিচিত মানুষের আনাগোনা ও অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাস জমিতে বাংলোবাড়ি নির্মাণ, টিলা ও গাছপালা কর্তনের বিষয়ে কোনো অনুমতি বা ভূমির লিজ নেওয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি প্রবাসী হাসান আহমদ। ওই বাড়ি এবং হাসান আহমদ বর্তমানে গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। তার কথিত বন্ধু আনোয়ারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘এই রহস্যজনক বাড়ি, প্রবাসী হাসান আহমদ ও সাবেক সেনা সদস্য আনোয়ারকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। এসব তদন্তের অংশ হিসেবে আমরা বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।’
এ বিষয়ে আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ জানান, তিনি আনোয়ারের ওপর বিশ্বাস করে জমি ক্রয় ও বাংলোবাড়ি নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা দেন। কিন্তু জুলাই মাসে দেশে ফিরে টাকার সঙ্গে কাজের অমিল দেখতে পান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই আনোয়ার তার ১৩ লাখ টাকা চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হাসান আহমদ আরও বলেন, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগও দিয়েছেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চলছে বলে দাবি করেন হাসান।


-20251210151231.webp)
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন