কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর আহনাফের মরদেহ গতকাল সোমবার সকালে সমিতিপাড়া সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার মাত্র ১৫ ঘণ্টা পর তার দেহ সাগরের তীরে ভেসে আসে।
পুলিশ ও লাইফগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে আহনাফ তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নামে। সঙ্গে থাকা দুই ভাইকে লাইফগার্ড তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে। আহনাফ নিখোঁজ থাকেন। খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল, লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালান।
সি সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানান, মরদেহটি তীরের কাছে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা কূলে তুলে দেন। পরে মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া আহনাফ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা। কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল ইসলাম বলেন, আহনাফ তার পরিবারের সঙ্গে বগুড়া থেকে পর্যটন ভ্রমণে এসেছিল।
প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সৈকতে অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৭ জুলাইও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্যাঁচার দ্বীপের হিমছড়ির সৈকতে গোসলে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান নিখোঁজ হন; তার সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন