নেপালে তরুণদের বিক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যে কারণে ত্রিভুনের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বেলা ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফ্লাইট ছিল। কাঠমান্ডুতে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ চলমান থাকায় বাংলাদেশ দল হোটেল থেকে বিমানবন্দরে যেতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে। ফলে বাংলাদেশের ফুটবলাররা পড়েছেন বিপাকে। তবে নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাফুফে মিডিয়া বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নেপাল থেকে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে আজ (গতকাল) বেলা ৩:০০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইএ ০৩৭২ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে নেপালের বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। দলের ফেরার বিষয়ে পরবর্তী আপডেট দ্রুত জানানো হবে।’ কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিয়ে বিমানবন্দরে যাইনি। নেপাল আমাদের স্কট (নিরাপত্তা) দিয়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে পারেনি। এখন আবার হোটেলে রুম নেওয়া হয়েছে। শুনেছি এয়ারপোর্ট অবরুদ্ধ। নতুন করে টিকিট করাও এখন অনিশ্চয়তা। কারণ এখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত।’ কাঠমান্ডুতে গোলাগুলি ও জ¦ালাও-পোড়াও চলছে। বাংলাদেশ টিম হোটেলের কাছেই এমন পরিস্থিতি।
তবে হোটেলে ফুটবলাররা অবশ্য নিরাপদেই রয়েছেন। হোটেলের সামনে তেমন কোনো সমস্যা এখনো হয়নি। প্রসঙ্গত, টানা দুই দিনের বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। এর আগে মঙ্গলবার ভোর থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা নেপালে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। এ সময় উত্তেজিত জনতা একাধিক প্রভাবশালী নেতার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আক্রমণের শিকার হয় ওলি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনও। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। বিক্ষোভ ও সহিংসতায় কাঠমান্ডুতে অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন