শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম

বরিশালে ছাত্রদল-শিবির  সংঘর্ষ, আহত ২৫

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম

বরিশালে ছাত্রদল-শিবির  সংঘর্ষ, আহত ২৫

বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুলাদী কলেজে ছাত্রসংগঠন দুটির নেতাকর্মীদের মধ্যকার এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সম্ভবত এই অঞ্চলের বরিশালের মুলাদী উপজেলায় শিবির এবং ছাত্রদলের মধ্যে সর্বপ্রথম সংঘাতের ঘটনা ঘটল। এই সংঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্রে গোটা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বৈঠক করছিলেন। তখন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে বেশ কিছু ছাত্র সেখানে প্রবেশ করেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে দুটি গ্রুপের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হন। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়ানো নিয়ে দুটি ছাত্রসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন এবং উভয় সংগঠনের কর্মীদের আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। 

ইসলামী ছাত্রশিবিরের বরিশাল জেলা সভাপতি মো. আকবর হোসেন এবং জেলা সেক্রেটারি সাইদ আহম্মেদ রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বুধবার গভীর রাতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিবির অফিস ও সংগঠনটির অর্থ সম্পাদকের বাসায় হামলা চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং শিবিরকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করেছেন, যাদের মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সেক্রেটারি বেল্লাল, কলেজ শাখা সভাপতি রিফাত মল্লিক এবং সেক্রেটারি কাওসার। 

অবশ্য এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী। তারা দাবি করেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে শিবিরের কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের সংগঠনের অন্তত ৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।  

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মুলাদী থানা পুলিশের ওসি মো. সফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর যেন নতুন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেই দিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। শিবির এবং ছাত্রদল উভয় গ্রুপই নিজেদের ওপর হামলার মৌখিক অভিযোগ করেছে। পরবর্তী সময়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!