বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম

আগামী সপ্তাহেই গেজেট

অনিয়ম ঠেকাতে অনলাইনে হবে প্রকল্পের টেন্ডার 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:৫০ পিএম

অনিয়ম ঠেকাতে অনলাইনে হবে প্রকল্পের টেন্ডার 

  • দুই মাসের মধ্যে সব খাসজমির হিসাব নেওয়া হবে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
  • উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করায় এখন কেউ পিডি হতে চান না
  • একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর করতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে। এতে করে গুটি কয়েক মাফিয়া প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বন্ধ হবে। আগামী সপ্তাহেই অনলাইন প্রক্রিয়ার বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশে কী পরিমাণ খাসজমি আছে, তা চিহ্নিত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি জমিগুলো কী অবস্থায় আছে, কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কী পরিমাণ জমি বেদখলে রয়েছেÑ এসব তথ্য বের করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। একনেক সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। 

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এই আইন হলে রেল খাত, জ¦ালানিসহ বিভিন্ন খাতে গুটি কয়েক মাফিয়া প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বন্ধ হবে। কারও প্রভাব দেখে নয়, যোগ্যতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করেই কাজ দেওয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে, আগে কোনো অনিয়মে জড়িত হলে, সেই প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার নানা স্তরে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে সরকার নীরব বিপ্লব করে ফেলেছে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেছি। ফলে প্রকল্প পরিচালক হতে কর্মকর্তারা কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ ছাড়া এখন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে খাসজমি রেখে কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের বহু খাসজমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি সারা দেশে কী পরিমাণ সরকারি জমি খাস আছে, তা বের করবে। একই সঙ্গে জমিগুলো দখল হয়েছে কি না, সেসব তথ্য সংগ্রহ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত আইন সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যারা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, তারা তো দেশ থেকে পালিয়েছেন। সুতরাং আইন তৈরিতে কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। তিনি আরও জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতি কেন, তা খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে সরকার। এলডিসি উত্তরণ হলে সহজ শর্তে আর ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই ভালো প্রকল্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে যতটা পারা যায়, সহজ শর্তে ঋণ নিতে চায় সরকার।

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ২২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, এটি চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের তৃতীয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪তম একনেক সভা।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারীর ক্ষমতায়নমূলক ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধন; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০০ হর্সপাওয়ার রিগ ক্রয়, শাহবাজপুর ও ভোলা এলাকায় কূপ খনন এবং নেসকো এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা আধুনিকায়ন প্রকল্প।

এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল ও যমুনা স্পেশালাইজড জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল মিল প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত তিনটি প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প।

এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পও আজকের সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!