বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৪:১২ এএম

ঝুঁকির সাঁকোই ভরসা ১০ গ্রামের মানুষের

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৪:১২ এএম

ঝুঁকির সাঁকোই ভরসা  ১০ গ্রামের মানুষের

রিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া-কাঠিরা খালের ওপর নির্মিত জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন ১০ গ্রামের শত শত মানুষ। বিকল্প কোনো সেতু না থাকায় বাধ্য হয়ে এই ভাঙাচোরা সাঁকোই হয়ে উঠেছে তাদের একমাত্র ভরসা।

রাহুতপাড়া-কাঠিরাসংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত এ সাঁকো দিয়ে ৫-৭টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। আশপাশে রয়েছে ডা. প্রশান্ত রায়ের বাড়ি (যেখানে বহু রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন), একটি মিশন স্কুল, হরি ঠাকুরের মন্দির এবং দুজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি। প্রায় ১ লাখ মানুষের জন্য এ সাঁকোটিই প্রধান যোগাযোগপথ। পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনো ব্রিজ নেই।

২০০২ সালে সাঁকোটি প্রথম নির্মাণ করা হয়। এরপর আর কোনো স্থায়ী সেতু নির্মাণ বা বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। প্রতিবছর স্থানীয় যুব সমাজ উদ্যোগ নিয়ে সাময়িক মেরামত করে। এবারের দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আবারও নিজেরা পাটাতন বসিয়ে চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করেছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাঁকোর অনেক কাঠের তক্তা ঢিলে হয়ে গেছে, কোথাও খুলেও পড়েছে। সাঁকোর দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বিকল্প পথ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ডা. প্রশান্ত রায় বলেন, ‘আমাদের এলাকা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। একটি পাকা ব্রিজ হলে নির্বিঘেœ চলাচল করা যেত। বর্তমানে গাড়ি নিয়ে পার হওয়া তো দূরের কথা, মহিলারাও ঠিকমতো চলাচল করতে পারেন না।’

লিমন সরদার নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, ‘রাতে টর্চলাইট নিয়ে পা টিপে টিপে চলতে হয়। কৃষিপণ্য বাজারজাত করা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, সবখানেই ভোগান্তি।’

আগৈলঝাড়া উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি যাইনি। যদি এলাকাবাসী লিখিতভাবে আবেদন দেয়, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেব।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!