তেজগাঁও থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলীসহ ১৭ জনের বিভিন্ন মেয়াদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই আনোয়ার হোসেন খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন। মামলার এজাহারনামীয় ৯ আসামির ৩ দিনের ও সন্দিগ্ধ ৮ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এজাহারনামীয় ৯ আসামিরা হলেন, সিরাজগঞ্জের মাধাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাইবুর রহমান নাইস, গাজীপুরের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোল্লা, সোলাইমান মিয়া, মো. আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, সিহাব শাহরিয়ার, আওয়ামী লীগ কর্মী মামুন, ইনজামুল হক, ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ পালোয়ান।
সন্দিগ্ধ ৮ আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুল হক হিরক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ও শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের নেতা মো. আলম মাদবর, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক শাকিল, আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ হোসেন বাবু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই আনোয়ার হোসেন খান তাদের ১০ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এজাহারনামীয় ৯ আসামির ৩ দিন ও সন্দিগ্ধ ৮ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এজাহারনামীয় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্দিগ্ধ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন বিচারক সাইফুজ্জামান।
গত রোববার রাতে বিশেষ অভিযানে মিরপুর থেকে তামান্না নুসরাত বুবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তেজগাঁও থানার ডেইলি স্টারের সামনে থেকে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে পান্থপথ অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়। কিছুক্ষণ পর জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালাচ্ছিল, এ অবস্থায় ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানার ও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন তেজগাঁও থানার এসআই মো. আব্দুল কাদের ২৫ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন