সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে অবশ্যই আদালতে আনতে হবে 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে অবশ্যই আদালতে আনতে হবে 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা এখন সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন, তাদের অবশ্যই আদালতে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। 

১৫ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়ে সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলনের এক দিন পর গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

সেনা সদর সংবাদ সম্মেলন করলেও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়নি জানিয়ে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ডকুমেন্টারি পদ্ধতিতে কেউ বলেননি যে আটক রাখা হয়েছে, মিডিয়াতে যেটা এসেছে, আমরা সেটা আমলে নিচ্ছি না। যেহেতু আমরা জানি না, তাই এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। আমাদের যদি বলা হয় যে আটক রাখা হয়েছে, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁকে অবশ্যই আদালতের কাছে আনতে হবে। এটাই বিধান।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বাদে বাকি ১৪ জনকে এবং অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) থাকা একজনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের দুটি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় হত্যাকা-ের ঘটনার একটি মামলায় গত ৮ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর তুমুল আলোচনা এবং তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠলে সেনা সদর এ বিষয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশ করে জানায়, সেনাবাহিনী ন্যায়বিচারের পক্ষে। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিফ প্রসিকিউটরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা যে সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন, তাঁদের স্ট্যাটাস কী হবে? তাঁরা কি এখন গ্রেপ্তার? জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানে আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইনেও আছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতেও আছে যে, যেখানেই গ্রেপ্তার করা হোক, তাকে আদালতের জন্য যতটুকু সময় ব্যয় হবে, সেটুকু ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থিত করতে হবে। এটা হচ্ছে আইনের বিধান।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ট্রাইব্যুনালের প্রধান আইনজীবী বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন নয়, সংবিধানেও এটি স্বীকৃত যে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার বেশি কাউকে আটক রাখা যায় না। যদি আদালত আপনাকে আটক করার অথরিটি দেন, তাহলে কেবল তখনই আটক করতে পারবেন। যাঁকে যখনই গ্রেপ্তার করা হবে, আদালতের বিধান হচ্ছে, তখনই তাঁকে আদালতে আনতে হবে। আদালত তাঁকে আটক রাখতে বললে আটক রাখা হবে। আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্তৃত্ব (অথরিটি) তখন আদালতের কাছে চলে যায়। এটাই হচ্ছে আইনি ব্যাখ্যা।’

সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা তা পায়নি। তবে তার আগেই চাকরিরত ওই কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয় তারা। আবার তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ ব্যাখ্যা (ওই সেনা কর্মকর্তাদের আটক রাখার বিষয়ে) চাননি। যদি চান, তখন আমরা ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই তাঁদের দেব।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!