প্রার্থী হতে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন ডা. তাসনিম জারা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি চলছে। মনোনয়নপত্র কেনা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বেশির ভাগই এখনো দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেননি, তবে গত সোমবার রাতে ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।

ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনটি সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা ও মান্ডা থানা নিয়ে গঠিত। বিএনপি ঢাকার বেশির ভাগ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এই আসন ফাঁকা রেখেছে। এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারার জন্যই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যক্তি ও তাঁদের সমর্থকেরা সেখানে ভিড় করেছেন। সমর্থকরা প্রার্থীদের পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। প্রার্থী ও সমর্থকদের অনেককে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সুপরিচিত নেতাদের অনেকের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গেল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই যোদ্ধা এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য মনোনয়নপত্রের দাম ২ হাজার টাকা।

এনসিপির কতটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হলো, তা এখনই জানাতে চান না নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র বিতরণ চলছে। অনেক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন। কতটি বিতরণ হলো পরে জানানো হবে।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলছেন, মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দলীয় কার্যালয়ে বিকেলে ও সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষ আসছেন অনেকেই মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন। ১৫ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে এনসিপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আখতার হোসেন বলেছেন, বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তরুণ, প্রাজ্ঞ, জুলাই যোদ্ধা ও কোনো না কোনোভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশÑ এমন প্রার্থীদের আমরা মনোনয়নের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব। ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন পক্ষের অনেকেই যোগাযোগ করছেন। তাঁদের বিষয়েও আমরা ইতিবাচক।