বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:৪৩ এএম

নায়িকা হওয়া সহজ নয়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:৪৩ এএম

নায়িকা হওয়া সহজ নয়

সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী ইমু শিকদার। নাটক নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। একসময় টেলিভিশন সিরিয়ালে ব্যস্ত সময় পার করলেও গত দুই বছর ধরে একক নায়িকা হিসেবে নাট্য জগতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ইমু। হাল সময়ে ইউটিউবে ভিউ নির্ভর নাটকের সময়ে তার অসংখ্য নাটক কয়েক মিলিয়ন ভিউ রয়েছে। স্বাভাবিক কারণে ইউটিউব কেন্দ্রিক নাটকে দিন দিন ইমুর চাহিদা বাড়ছে।

সম্প্রতি এই অভিনেত্রী কয়েকটি একক নাটকের কাজ শেষ করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার ‘মানুষ না মানুষ’ নামের একটি একক নাটক। এতে তার সহশিল্পী সাব্বির আহমেদ। নাটকটি নিয়ে আশাবাদী ইমু। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘অনেক দিন পর দারুণ একটি গল্পে কাজ করেছি। দর্শক নাটকটি উপভোগ করবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সব ধরনের চরিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত আছি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বুঝে না বুঝে অনেক ধরনের কাজ করেছি। তবে যা হয় ভালোর জন্যই হয়। জীবনে সব জার্নিই দরকার আছে। আরও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে চাই। সামনে আমার ভীষণ ভালো ভালো কাজ আসছে।’

ইমুকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার নাটকে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি নোয়াখালী তারপর বরিশালের ভাষায় কাজ করে সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে জানান, সব ধরনের চরিত্রেই কাজের জন্য মুখিয়ে থাকেন।

‘দ্য স্টোরি অব সামারা’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ইমুর। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ কাজ করেন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর মাঝে ছিলেন কাজ থেকে দূরে। বিরতি পেরিয়ে সিনেমা নয়, নাটকে সরব হয়েছেন তিনি।

ইমু বলেন, ‘অল্প বয়সেই সিনেমার নায়িকা হয়েছিলাম। তখন আমার বয়ষ ১৪ বছর। নায়িকা হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই শোবিজে নাম লেখাই। কয়েকটি সিনেমাতেও কাজ করি। বাবা মারা যাওয়ার পর কাজ থেকে দূরে সরে যাই। তারপর একটা গ্যাপ হয়ে যায়। তবে নায়িকা হওয়া সহজ নয়। বিরতি শেষে নাটকে কাজ করি। ২০২১ সালের পর একটানা নাটকে কাজ শুরু করি। সামনে ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় কাজ করব।’

হুমায়ূন আহমদের গল্পে কাজের আগ্রহ রয়েছে ইমুর। কখনো সুযোগ পেলে কাজ করবেন। তার লেখা ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ ইমুকে অভিনেত্রী হতে প্রভাব রেখেছে বলে জানিয়েছেন।

প্রায়ই শোনা যায় ধারাবাহিক নাটকের ধারাবাহিকতা থাকে না। এ কথা ইমুও শিকার করেছেন। তবে এটা সময়ের ঘারে দোষ চাপান। ইমুর ভাষায়, ‘ইন্ডাস্ট্রি ভালো খারাপ মিলিয়ে। সবসময়ই ভালো খারাপ যায়। ইন্ডাস্ট্রি তার গতিতেই চলবে।’

নাটকের ভিউ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে নাটকের জন্য ভিউ জরুরি। তার পাশাপাশি প্রশংসাও দরকার। সব প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আমি। দিনশেষে আমার লক্ষ্য কাজ করা।’

নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে ইমুর ভাষ্য, ‘সিন্ডিকেট করে কখানো লাভ হয় না। সাময়িক ভালো থাকা যায়। তবে বেশিদিন স্থায়ী হওয়া যায় না। ভালো কাজ করলে আপনার মূল্যায়ন হবেই।’

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শিল্পীরা দেশান্তরী হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক শিল্পী ভিনদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে ইমু কখনো দেশ ছাড়বেন না জানিয়ে বলেন, ‘যত যাই হোক আমি দেশেই থাকব। আমি দেশকে ভীষণ ভালোবাসি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!