শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৬:৪৭ এএম

দর্শকের আরও কাছে যেতে চাই

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৬:৪৭ এএম

দর্শকের আরও কাছে যেতে চাই

চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা অভিনয়শিল্পী নাবিলা বিনতে ইসলাম। অল্প সময়ে ছোট পর্দায় নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও ধীরে ধীরে নাটক, ওয়েব কনটেন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত কাজ করে দর্শকের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরতে পছন্দ করেন নাবিলা। সাম্প্রতিক সময়ে বিরতি নিলেও আবার নতুন উদ্যমে কাজে ফিরেছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা থেকে শুরু করে কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি

বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

বর্তমানে একক ও ধারাবাহিক নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ধারাবাহিক নাটক ‘ম্যানেজ মাস্টার’, ‘কলেজ রোড’, ‘কাজিন্স’ এগুলোর কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।

সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি এবং কীভাবে মোকাবিলা করেন?

অভিনেত্রী হিসেবে আমাদের অনেক সময় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কারণ সব চরিত্র আমার দেখা না। সব গল্প অবশ্যই নতুন, সেই চরিত্রগুলোতে অভিনয় করতে বা চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হয়, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় খুব অল্প সময় থাকে বা বাজেট সীমিত থাকে, এসব মাথায় রেখে কাজ করাও চ্যালেঞ্জ।

নাটক-ওটিটিতে সিন্ডিকেট। কি বলবেন?

সিন্ডিকেট বলতে অনেকে যার যার পছন্দের শিল্পীকে নিয়ে কাজ করাকে বোঝায়। আবার এমন মানুষদের নিয়ে একটি পুরো টিম গঠন করা হয় যাদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা হয়। সেদিক থেকে বলতে গেলে এটাকে সিন্ডিকেটও বলা যায় আবার পছন্দের মানুষদের একটি দল বললেও ভুল হবে না। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে বারবার কাজ করা হয় কারণ সেই টিমের মাঝে বোঝাপড়া, এক ধরনের সম্পর্ক বা দলগত শক্তি থাকে। দলগত কাজ শক্তিশালী হলে দর্শকরাও ভালো কিছু পেয়ে থাকে। তবে আবার এমনও হতে পারে, দর্শকরা যদি মনে করেন কোনো চরিত্রে অন্য কাউকে দেখলে ভালো হতো বা অন্য শিল্পী আরও মানানসই ছিল, তাহলে পরের কোনো কাজে পরিচালক অন্য কাউকে নিয়ে কাজ করবেন। অর্থাৎ, এটা সম্পূর্ণ কাজের প্রয়োজন, দর্শকের চাহিদা এবং পরিচালকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

নিয়মিত ধারাবাহিক নাটকে কাজ করলেও একক নাটকে কম দেখা যায়। কেন?

ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত আমাকে পর্দায় দেখার কারণ, ধারাবাহিক নাটক তো প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন প্রচারিত হয়। তাই ধারাবাহিকে কম কাজ করলেও দর্শকের কাছে মনে হয় আমি সব সময়ই পর্দায় আছি। অন্যদিকে, একক নাটক এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এবং এরপর আমাকে অন্য গল্পে দেখা যায়। সে কারণেই অনেক সময় মনে হয় একক নাটক কম করছি, আসলে বিষয়টা তা নয়। আমি ধারাবাহিক এবং একক দুটোতেই নিয়মিত কাজ করছি। যখনই ভালো গল্প পাই, তখনই কাজ করি। সব গল্পে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায় না। দর্শক যেমন সব চরিত্রে একজন শিল্পীকে দেখেন না, আমিও সব গল্পে নিজেকে খুঁজে পাই না। তাই স্বাভাবিকভাবেই কখনো কখনো কাজের সংখ্যা কিছুটা কমে যায়।

বড় পর্দা নিয়ে কী ভাবছেন?

বড় পর্দায় অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু আরও অনেক কাজের সংখ্যা হওয়া উচিত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় হওয়া উচিত, তাহলে সবার কাজ করার সুযোগ থাকবে। ভবিষ্যতে বড় পর্দায় সে রকম কোনো সুযোগ আসে, তাহলে অবশ্যই কাজ করব।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পেলে কি করবেন?

শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করব। সে তো সবার পছন্দের, আমারও ভীষণ ভালো লাগে। শাকিব খান নিজেকে যেখানে নিয়ে গেছে, তার যে পরিবর্তন এবং অভিনয়শৈলী, সবকিছুই পারফেক্ট। তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থাকলে যে কেউ করতে চাইবে, করা উচিত।

বর্তমান নাটক ও সিনেমার গল্পগুলো পর্যাপ্ত বৈচিত্র্যময় ও গভীর?

নাটকে আমরা সত্যিই নানা ধরনের বৈচিত্র্য দেখেছি। আমার যতটা জানা, আমাদের দেশের মতো এত বিপুল পরিমাণ একক নাটক অন্য দেশে তৈরি হয় না। ফলে আমরা অসংখ্য গল্প বলার সুযোগ পেয়েছি এবং এখনো সেই ধারাবাহিকতা আছে। তাই নাটকের ক্ষেত্রে আমি বলব, গল্পের বৈচিত্র্য যথেষ্টই রয়েছে। আমাদের নির্মাতারা অনেক পরিশ্রম করে আলাদা আলাদা গল্প উপস্থাপন করছেন। তবে সিনেমার ক্ষেত্রে চিত্রটা একটু ভিন্ন। দেশে সিনেমার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় গল্পের পরিসরও সীমিত। যদি বছরে সিনেমার সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে আরও বেশি গল্প নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা সবার জন্যই। ফলে সিনেমার অঙ্গনে বৈচিত্র্য ও গভীরতা বাড়বে। তাই আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে আরও বেশি প্রযোজনা প্রয়োজন।

অভিনেত্রী হিসেবে আপনার আইডল কে?

অনেকেই আছে। আমি জয়া আহসান আপুকে অনেক পছন্দ করি, মুগ্ধ হয়ে আমি তার অভিনয় দেখি। আমি তার ভক্ত। এ ছাড়া সুবর্ণা মুস্তাফা আপুকেও ভালো লাগে। তাদের কাজগুলো আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করে।

স্বপ্নের চরিত্র কি?

অনেক আছে, বলে শেষ করা যাবে না। যখন ভালো কিছু চোখে আসে বা যখন বই পড়ি তখনই মনে হয় যে এই চরিত্রটা হতে পারতাম। আসলে এ রকম অনেক আছে, একটা বললে হবে না। আমার কাজে যে চরিত্রগুলো পাই আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার, কারণ এই চরিত্র দ্বিতীয়বার করার সুযোগ থাকবে না।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

ভবিষ্যতে আরও ভালো ভালো গল্পে কাজ করতে চাই। নতুন গল্পে, নতুন চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করতে চাই। দর্শকদের কাছ থেকে আরও ভালোবাসা পেতে চাই, আরও কাছাকাছি যেতে চাই।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!