ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দেশের ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন এবং ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ভর্তির জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছে। তবে বেসরকারি স্কুলগুলোর ১০ লাখের বেশি আসনের বিপরীতে আবেদন কম হওয়ায় খালি রয়ে গেছে প্রায় ৮ লাখ ৪৩ হাজার আসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় লটারি কার্যক্রম শেষে এই তথ্য জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। লটারি শেষে বেলা পৌনে তিনটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী। তিনি জানান, এবারের ডিজিটাল লটারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে নির্বাচিত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন এবং বেসরকারি স্কুলে নির্বাচিত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী।
ইউনুস ফারুকী বলেন, এখন দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। লটারির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে এবং যেকোনো টেলিটক মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে।
মাউশি সূত্র জানায়, এবার সরকারি ৬৮৯টি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী। লটারিতে নির্বাচিত ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জনের বাইরে ১৪ হাজার ৭৫টি আসন এখনো ফাঁকা রয়েছে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ শিক্ষার্থী। নির্বাচিত হন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি রয়ে গেছে।
১৭ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি শুরু : নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব জানান, গতবারের মতো এবারও দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে ভর্তি করানো হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ভর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। গতকাল সকালেই সরকারি স্কুলের লটারি প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া এবং উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। পরে বেসরকারি স্কুলের লটারি উদ্বোধন করেন প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।
লটারি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে টেলিটক ডিজিটাল। বিকেল পৌনে তিনটায় টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাউশির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন