ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ইউক্রেনে এক রাতে ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৪:০০ এএম

পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তেজনা বেড়েই চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন ফ্রন্টলাইনে। এক রাতে ইউক্রেনের শহরগুলোয় ৩ শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া। নিপ্রো-পেট্রো-ভস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্লিনিক, স্কুলসহ একাধিক স্থাপনা। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুজন।

কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরনগরী ওডেসায় মিসাইলের আঘাতে নিহত হয়েছে অন্তত একজন। সেই সাথে আহত হয়েছে ৬ শিশু। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে মস্কো। তবে তা প্রতিহত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন। রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুমি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। স্থানীয় সময় রোববার (২০ জুলাই) ৪০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আগামী সপ্তাহে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য রাশিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। গত শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব রুস্তেম উমেরভ রুশ আলোচকদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যা কিছু করা দরকার, তা অবশ্যই করা উচিত। রাশিয়ার উচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে পালিয়ে না বেড়ানো।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে তিনি প্রস্তুত। স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব পর্যায়ের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ইউক্রেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে সম্প্রতি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং শান্তি আলোচনায় গতি আনাই তাঁর মূল দায়িত্ব। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও কাঠামোবদ্ধ করতে ইউক্রেন চালু করেছে ‘ই-পয়েন্টস’ নামের নতুন এক পদ্ধতি। এই প্রকল্পে শত্রুসেনা হত্যা বা তাদের অস্ত্র ধ্বংসের জন্য পয়েন্ট পাবেন ইউক্রেনীয় সেনারা। ড্রোনের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করে ভিডিও ধারণ করা হয়।

সেই ভিডিও কিয়েভে পাঠিয়ে বিশ্লেষণ করা হয় এবং তারই ভিত্তিতে সেনাদের পয়েন্ট দেওয়া হয়। ‘ব্রেভ-১’ নামের একটি বিশেষজ্ঞ দল এই পদ্ধতি পরিচালনা করছে। রকেট লঞ্চার ধ্বংসে ৫০, ট্যাংক ধ্বংসে ৪০ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারলে ২০ পয়েন্ট দেওয়া হয়। তবে রুশ সেনা হত্যা করলে ১ পয়েন্ট আর বন্দি করতে পারলে তার দশ গুণ পয়েন্ট মিলবে। কারণ, বন্দিদের ভবিষ্যতে বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়। সেনারা জমানো পয়েন্ট দিয়ে ‘ব্রেভ-১ মার্কেট’ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ড্রোন, অস্ত্রসহ নানা সরঞ্জাম কিনতে পারেন।