রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। বিমানটি কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় একজন নিহতের কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বহু হতাহতের আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর এরই মধ্যে মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের স্বজনরা ভিড় করছেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আহাজারি লক্ষ করা গেছে।
লাকি আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার দুই সন্তান এখানে পড়ত। বড় সন্তানকে বের করা গেছে। তবে ছোট সন্তান এখনো আটকে আছে। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।’
ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ভেতরে আটকা পড়েছে। মেয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না।’
মাইলস্টোন কলেজের অধ্যাপক সবুজ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্কুলের দোতলা ভবনের প্রবেশ মুখে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তখন স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে গেছে, অনেকে ভেতরেই ছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই আগুন ধরে যায়।’
বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অন্তত ৬০ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ প্রদান করছি। সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।’