শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:২৮ এএম

গাজাবাসীকে দক্ষিণ সুদানে সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:২৮ এএম

গাজাবাসীকে দক্ষিণ সুদানে সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা

ইসরায়েল গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিধ্বস্ত পূর্ব আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। হামাসের বিরুদ্ধে টানা ২২ মাসের সামরিক অভিযানে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ব্যাপক অভিবাসন ত্বরান্বিত করার ইসরায়েলের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  আলোচনা কত দূর এগিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা এক অঞ্চল থেকে মানুষকে অন্য এক যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হবে, যা মানবাধিকার নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান, যেখানে গাজার বেশির ভাগ মানুষের পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল আই-২৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমার জানা যুদ্ধ আইনের অধীনে সঠিক কাজ হলো, জনগণকে এলাকা ছাড়তে দেওয়া, তারপর সেখানে থাকা শত্রুর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা।’ তবে তিনি এ সময় ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের কথা উল্লেখ করেননি।

ফিলিস্তিনিরা, মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এটি আসলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জোরপূর্বক উচ্ছেদের একটি নীলনকশা।

ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারন হাসকেলের কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ সুদানে সফরে যাচ্ছেন। তবে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রসঙ্গ তিনি তুলবেন না।  অন্যদিকে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে মন্তব্য করেন না। দক্ষিণ সুদানের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা স্লাভিক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অবগত থাকলেও সরাসরি এতে জড়িত নয়।

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের নতুন বিধি-নিষেধের কারণে জীবনধারণের অতিপ্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তা গাজায় ঢুকতে পারছে না বলে অভিযোগ তুলেছে শতাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংস্থাগুলোর দাবি, এসব বিধি-নিষেধের ফলে জর্ডান ও মিসরের গুদামঘরে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী আটকে আছে, অন্যদিকে খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে ভুগে মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো জানায়, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাদ্য, ওষুধ, পানি ও অস্থায়ী আশ্রয়সামগ্রীবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে পারছে না; নতুন নীতিমালার অজুহাতে এসব পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কোনো বাধা নেইÑ ইসরায়েল এমন দাবি করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত ২ মার্চের পর থেকে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় ত্রাণবাহী একটি ট্রাকও গাজায় পাঠাতে পারেনি। বরং অনুমোদন নেই উল্লেখ করে বহু সংস্থার আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) ও অক্সফামের মতো দীর্ঘদিন ধরে গাজায় কাজ করা সংস্থাগুলোকেও নতুন নিবন্ধন ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের শর্ত দেখিয়ে ‘অননুমোদিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে খাবার তো বটেই, হাসপাতালগুলোতে তৈরি হয়েছে মৌলিক চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট।

সংস্থাগুলো ইসরায়েলের ‘ত্রাণ সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ ও ‘আমলাতান্ত্রিক বাধা’ অবিলম্বে বন্ধ করে শর্তহীনভাবে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রবাসীবিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি জানান, যে সংস্থা ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক চরিত্র অস্বীকার করে বা তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়, তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হতে পারে।

এই অভিযোগ এমন সময়ে উঠল, যখন ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি দখলে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে, যা শহরটির প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষকে দক্ষিণের তথাকথিত ‘সংকুলান অঞ্চলে’ ঠেলে দেবে। অভিযানে সম্ভাব্য ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনার নিন্দা করেছে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!