শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম

ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা পাইলটদের পুরস্কৃত করল পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর পাইলটদের দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক প্রদান। ছবি- ডন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর পাইলটদের দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক প্রদান। ছবি- ডন

চলতি বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নয়াদিল্লির ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা সাহসী পাইলটদেরকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক দিয়েছে ইসলামাবাদ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। যুদ্ধে অত্যাধুনিক রাফাল ফাইটার জেটের পাশাপাশি রুশ নির্মিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিলেন এসব পাইলটরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার আইওয়ান-ই-সদরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই বীর পাইলটদের দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্ব পদক প্রদান করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বিশেষভাবে সম্মান জানান উইং কমান্ডার মালিক রিজওয়ানুল হককে। তিনি ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’-এ এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। এ জন্য তাকে ‘তামঘা-ই-বসালাত’ পদক প্রদান করা হয়।

শেহবাজ শরিফ নিজ হাতে পদক পরিয়ে দেন এবং তাকে মঞ্চে নিজের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। শ্রোতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করেছেন”। এ কথা শুনে উপস্থিত জনতা করতালি ও উল্লাসে ফেটে পড়েন।

পাকিস্তানের আন্ত বাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ‘সিতারা-ই-জুরাত’ পদক পান উইং কমান্ডার বিলাল রাজা, উইং কমান্ডার হাম্মাদ ইবনে মাসউদ, স্কোয়াড্রন লিডার এম ইউসুফ খান, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ ওসামা ইশফাক, স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ হাসান আনিস, স্কোয়াড্রন লিডার তালাল হাসান ও স্কোয়াড্রন লিডার ফিদা মুহাম্মদ খান।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

এরপর ২৩ এপ্রিল ভারত একের পর এক বৈরী পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু নদ পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করে, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশন বন্ধের নির্দেশ দেয় এবং উভয় দেশের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ও রয়েছে।

এরপর ৭ মে ভোরে পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যাতে একটি মসজিদ ধ্বংস হয় এবং নারী-শিশুসহ বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হন।

এর জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত পাল্টা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ৬টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল ফাইটার জোট। এরপর ১০ মে ভোরে ভারত পাকিস্তানের কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ শুরু করে। এতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কেন্দ্র, বিমান ঘাঁটি ও অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় দুপক্ষই।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!