বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:২২ পিএম

নীরস কেন পুরুষ দিবস?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:২২ পিএম

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। ছবি- সংগৃহীত

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস। ছবি- সংগৃহীত

আলোচনা কম হোক বা বেশি, প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর কিন্তু পালিত হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস। মূলত পরিবার, সমাজ ও পৃথিবীতে পুরুষদের ইতিবাচক অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিবসের প্রচলন। বিশ্বজুড়ে প্রতি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ দিনটি উদযাপন করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী দিবস যতটা আলোচিত, পুরুষ দিবস ততটা নয়।

১৯৬০-এর দশকেই পুরুষদের জন্য একটি আলাদা দিবস প্রস্তাবের সূচনা হয়। পরে ১৯৬৯ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে যে ২৩ ফেব্রুয়ারি পুরুষ দিবস হিসেবে পালনের আগ্রহ দেখা গেছে। তবে ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে এই দিনটি ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ হিসেবে উদযাপিত হতো, যা মূলত সৈনিকদের সাহস ও ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন ছিল। তাই এটি আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে গৃহীত হয়নি। 

১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব পুরুষ দিবস। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে এ দিবস পালন শুরু হয়।

এবারের পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য

২০২৫ সালের বিশ্ব পুরুষ দিবস (International Men’s Day)-এর থিম হলো “Celebrating Men and Boys”। দীর্ঘদিন ধরে পুরুষত্বকে অনেক সময় ‘কঠোর’, ‘অভিযোগহীন’, ‘অভিব্যক্তিহীন’—এভাবে দেখা হয়।

এই প্রতিপাদ্য পুরুষত্বের ইতিবাচক দিক—দায়িত্ব, যত্ন, নৈতিকতা, সহমর্মিতা—এসবকে উদ্‌যাপন করার চেষ্টা। বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, আত্মহত্যার হার এবং স্ট্রেস—এসব এজেন্ডা হয়ে উঠছে।

“উদ্‌যাপন” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যেন ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি হয়। পিতা, শিক্ষক, কর্মী, স্বামী বা অভিভাবক হিসেবে পুরুষদের যে অবদান—তা অনেক সময় আলোচনায় আসে না।

এই থিম সেই অবদানকে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে চায়।

কেন নীরস বিশ্ব পুরুষ দিবস?

নারীবাদী আন্দোলনের মতো শক্ত কোনো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নেই। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পেছনে রয়েছে তীব্র সংগ্রাম, অধিকার ও দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস। পুরুষ দিবসের তেমন কোনো রাজনৈতিক–সামাজিক আন্দোলনমূলক পটভূমি নেই। ফলে এ দিনে আবেগ, প্রতীক ও সংগঠিত কার্যক্রমের ঘাটতি থাকে।

মিডিয়া সাধারণত নারী ইস্যুতে বড় কাভারেজ দেয়—হয়রানি, সমতা, নিরাপত্তা—এসব নিয়ে প্রতিবেদন হয় সারাবছর। পুরুষ দিবসে মিডিয়ার কণ্ঠস্বর তুলনামূলক কম। ফলে জনসাধারণের চোখেও দিনটি “ঘটনাবিহীন” মনে হয়।

ভ্যালেন্টাইন, নারী দিবস, মা দিবসের মতো এই দিনে ব্র্যান্ডগুলো প্রচারণা চালায় না।

  • ক্যাম্পেইন নেই
  • বিজ্ঞাপন নেই
  • অফার/মার্কেটিং নেই
  • বাজারের উত্তাপ না থাকায় দিনটি খুব নীরস হয়ে যায়। 

অনেকে মনে করেন—
পুরুষ তো আগেই সব সুযোগ-সুবিধা পায়, তাদের আবার দিবস কেন?’ এই ভুল ধারণাই দিবসটিকে অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বলে মনে করায়। কিন্তু বাস্তবে পুরুষদেরও রয়েছে নিজস্ব মানসিক ও সামাজিক সংকট—যা আলোচনার প্রয়োজন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!