বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

মনোনয়ন দ্বন্দ্বে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১০:১২ পিএম

টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শহরের ব্যস্ততম মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে অধিকাংশের পরিচয় জানা যায়নি।

মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিল দাবিতে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় আগেই সেখানে অবস্থান করা মনোনয়নপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের সমর্থিত কর্মীরা বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় পথচারী আনোয়ার হোসেন জানান, বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌঁছালে মোহাম্মদ আলীর সমর্থিত মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা মোহাম্মদ আলী গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘বয়কট, বয়কট—স্বপন ফকির বয়কট।’ প্রায় দেড় ঘণ্টা এ ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান চলে।

সংঘর্ষের সময় মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি এবং জামালপুর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়। দুই পক্ষই আহতের দাবি করলেও স্বপন ফকির গ্রুপের আরিফ নামে একজনের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও পরে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

টাঙ্গাইলে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা জুবায়ের হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম, মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির, তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ ও সেনা সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা সমন্বিতভাবে কাজ করেন।

এদিকে, সন্ধ্যার পর মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সমর্থকরা মোহাম্মদ আলীর কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ করে। সমাবেশে মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও জয়নাল আবেদিন খান বাবলু বক্তৃতা করেন।

এ ঘটনায় মধুপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘মোহাম্মদ আলীর সমর্থকরা তাদের সমাবেশে তারেক রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ সময় স্বপন ফকিরের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলীর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ করে রাখে। হামলার ঘটনায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।’

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত মোহাম্মদ আলী গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। স্বপন ফকিরের সমর্থকরা তাদের কর্মসূচি প্রতিহত করার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা বিক্ষোভ নিয়ে আনারস চত্বরে গেলে বাধা প্রদান করা হয় এবং হামলাসহ ভাঙচুর চালানো হয়।’

এ বিষয়ে মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।’

উল্লেখ্য, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সমর্থকরা স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিল করে মোহাম্মদ আলীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছে।

Link copied!