মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর এবিসি নেটওয়ার্কের জনপ্রিয় টক শো হোস্ট জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিমেল রক্ষণশীল ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্কের হত্যাকা- নিয়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এর জেরেই এমন পদক্ষেপ।
গত সোমবার কিমেল তাঁর অনুষ্ঠানে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, চার্লি কার্কের হত্যাকারী একজন ‘মাগা রিপাবলিকান’। যদিও উটাহ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ‘বামপন্থি মতাদর্শে দীক্ষিত’।
ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) কিমেলের মন্তব্যের জেরে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এবিসি চ্যানেল ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোথাও পড়েছি যে, নেটওয়ার্কগুলো আমার বিরুদ্ধে ৯৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রচারণা করেছে, এর পরেও আমি জিতেছি এবং সহজেই সাতটি সুইং স্টেটে জিতেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাকে শুধু খারাপ প্রচারণা দেয়। আমার মনে হয়, তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।’
কিমেলের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের মতো হলিউড ইউনিয়নগুলো এ ঘটনা বাক্স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। অন্যদিকে, বারস্টুল স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভ পোর্টনয়ের মতো অনেকে এটিকে ‘দায়বদ্ধতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি কোনোভাবেই ‘ক্যানসেল কালচার’ নয়।
কিমেলের প্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্কগুলোর লেট নাইট শোর হোস্টরাও তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। সিবিএসের স্টিফেন কোলবার্ট এ ঘটনাকে ‘স্পষ্ট সেনসরশিপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন স্বৈরাচারকে আপনি এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে পারেন না।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন