ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

স্থানীয় মেধায় বিনিয়োগই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৮:২০ এএম

বাংলাদেশ গত এক দশকে ৬ শতাংশেরও বেশি স্থিতিশীল জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে কৃষিনির্ভর অর্থনীতি থেকে শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি। টেক্সটাইল, আইটি, ফাইন্যান্স ও ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো উচ্চ প্রবৃদ্ধির খাতে দক্ষ স্থানীয় কর্মী না থাকায় বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমানভাবে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে মধ্য ও উচ্চস্তরের পদে প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি পেশাজীবী কাজ করছেন। ড. তানভীর আবীরের নেতৃত্বে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট বের হলেও শিল্পের চাহিদানুযায়ী প্রযুক্তিগত জ্ঞান, নেতৃত্ব ও সমস্যার সমাধান দক্ষতার ক্ষেত্রে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল প্রাজার দীপ্তি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দক্ষতা বিভাজন দূরীকরণ: বাংলাদেশের মূল খাতগুলোতে বিদেশি শ্রমনির্ভরতা ও কর্মিবাহিনী ঘাটতি মোকাবিলা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক দলের প্রধান ড. তানভীর আবীর।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী,  এক্সটার্নাল এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক মো. মনজুরুল হক খান প্রমুখ। গবেষণাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সীমাবদ্ধ হলেও ভবিষ্যতে বহুজাতিক তুলনামূলক বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স, ব্লকচেইন, গ্রিন এনার্জি ও সাইবার সিকিউরিটির মতো ভবিষ্যৎমুখী খাতে দক্ষতা চাহিদা চিহ্নিত করা জরুরি।