ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

বিস্ময়কর বালক কাইরান কাজীকে নিয়ে যা বললেন ইলন মাস্ক

ডিজিটাল দুনিয়া ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
ইলন মাস্ক ও কাইরান কাজী। ছবি- সংগৃহীত

মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিশ্বের অন্যতম বড় ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান সিটাডেল সিকিউরিটিজ-এ যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিস্ময় বালক কাইরান কাজী। স্পেসএক্সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দুই বছর কাজ করার পর ওয়ালস্ট্রিটে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রতিষ্ঠানটি ছেড়েছেন। তার এই সিদ্ধান্ত এবং পট পরিবর্তন নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য, তখন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের প্রতিক্রিয়া সবার চোখ কপালে তুলেছে।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ কেউ একজন ফরচুন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কাইরান সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি ইলন মাস্কের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাস্ক বলেন, ‘এই প্রথম আমি তার নাম শুনলাম!’– যা প্রযুক্তি মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

কাইরান কাজীর জীবনের গল্পটি যেন কল্পনার চেয়েও অবিশ্বাস্য। মাত্র ১০ বছর বয়সে বিভিন্ন গবেষণা ল্যাবে ইন্টার্নশিপ শুরু করেন তিনি। এরপর ১১ বছর বয়সে Las Positas College থেকে গণিতে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি এবং মাত্র ১৪ বছর বয়সে Santa Clara University থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সি গ্র্যাজুয়েট হিসেবে।

১৪ বছর বয়সেই তিনি যোগ দেন স্পেসএক্সে। স্টারলিঙ্ক বিভাগে কাজ করার সময় তিনি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার তৈরিতে ভূমিকা রাখেন, এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট পরিচালনা ও বৈশ্বিক ইন্টারনেট কাভারেজ উন্নত হয়। তার এই অবদান লাখ লাখ ব্যবহারকারীর জন্য নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করে।

দুই বছর কাজের পর স্পেসএক্স থেকে বিদায় নিয়ে এখন তিনি যুক্ত হয়েছেন Citadel Securities-এ। সেখানে তার পদবি Global Trading Infrastructure Engineer।

এক সাক্ষাৎকারে কাইরান বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণায় ফল আসতে বছর লেগে যায়। কিন্তু কোয়ান্ট ফাইন্যান্সে ফল তাৎক্ষণিক। এআই গবেষণার জটিলতা আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ- দুটিই এখানে আছে।’

কাইরান আরও বলেন, ‘সিটাডেল সিকিউরিটিজে আমি মাস নয়, দিনের মধ্যেই কাজের দৃশ্যমান প্রভাব দেখতে পারছি।’

ইলন মাস্কের মন্তব্য ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

ইলন মাস্ক এক মন্তব্যে বলেন ‘এই প্রথম তার নাম শুনলাম’- অনেকের চোখে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি জগতে এক বিস্ময় বালকের এমন অবদানের পরও প্রতিষ্ঠানের মালিকের এই অজ্ঞতা প্রশ্ন তুলেছে প্রতিষ্ঠান কাঠামোর যোগাযোগ ও স্বীকৃতি নিয়ে।

এর আগেও আলোচনায় আসেন কাইরান, যখন ২০২৩ সালে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন তার বয়সের জন্য অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে কাইরান সমালোচনামূলক ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লেখেন, ‘দক্ষতা মাপার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় না, বরং মুখস্তবিদ্যা উগরে দেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করে।’