ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

কচুর লতি-আদা-রসুন চাষেও মিলবে কৃষিঋণ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১২:২৮ এএম

কৃষিঋণের আওতায় আরও বেশ কয়েকটি শস্যপণ্য যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কচুর লতি, বিটরুট, কালোজিরা, আদা, রসুন, হলুদ, খেজুরের গুড় ইত্যাদি চাষেও ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নেওয়া যাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর কৃষিসংশ্লিষ্ট নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্বারোপ এবং নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে আদায়কৃত সুদ বা মুনাফার কিছু অংশ সংশ্লিষ্ট এজেন্টের সঙ্গে ভাগ করার জন্য ব্যাংকসমূহকে পরামর্শ প্রদান করতে হবে। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং পদ্ধতিতে কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালায় উল্লিখিত ফসল ঋণ, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়নসংশ্লিষ্ট উপখাতসমূহে ঋণ প্রদান করা যাবে মর্মে প্রদত্ত নির্দেশনার মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতা বাড়ানো হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কিছু নতুন শস্য ও ফসল যেমন: খিরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালোজিরা, বস্তায় আদা, রসুন ও হলুদ চাষ, খেজুরের গুড় উৎপাদন প্রভৃতির ঋণ-নিয়মাচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অঞ্চলভেদে বাস্তবতার নিরিখে কৃষকদের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে ঋণ-নিয়মাচারে ফসলভিত্তিক নির্ধারিত ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবেশি করার সুযোগ প্রদান করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ দেশের দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লি খাতে যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থের জোগান একান্ত প্রয়োজন। দেশের কৃষিপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধিতে; সর্বোপরি সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নে এই নীতিমালা ও কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা এবং কর্মসূচি কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে যথাসময়ে চাহিদা মোতাবেক ঋণপ্রবাহ পৌঁছাতে সহায়ক হবে। কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পল্লি অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থায়নের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্যবিমোচনেও এই নীতিমালা ও কর্মসূচি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।