ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রামে কাগজের আড়ালে আনা ২৬ টন সিগারেট পেপার জব্দ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৮:২০ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়ল আমদানি জালিয়াতির নতুন কৌশল। সম্প্রতি পেপার রিবন ও স্ট্র পেপারের ঘোষণার আড়ালে অখ্যাত দুই প্রতিষ্ঠান এনেছে ২৬ টন সিগারেট পেপার। অবৈধ এই আমদানির মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকার শুল্ককর ফাঁকির চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। বৈধ প্রক্রিয়ায় এই কাঁচামালের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বাজারে আসলে সেখান থেকে অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব হতো বলে মনে করেছেন ভ্যাট কর্মকর্তারা। প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য ও নামসর্বস্ব-অচেনা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বড় অঙ্কের শুল্ককর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী চক্র এর সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাভিত্তিক আরএম এন্টারপ্রাইজ গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি স্ট্র পেপারের ঘোষণা দিয়ে হংকং থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬ টনের একটি চালান নিয়ে আসে। জুলাই মাসের শেষ দিকে স্মার্ট মুভ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান রিবন পেপারের ঘোষণা দিয়ে নিয়ে আসে প্রায় ১০ টনের একটি চালান। এ দুই চালান নিয়ে সন্দেহ হলে পণ্যের নমুনা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পণ্যগুলো আসলে সিগারেট পেপার।

কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, পণ্য পরীক্ষায় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি উদঘাটিত হওয়ার পরও আমদানিকারকেরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করে চালানগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চালান দুটি ছেড়ে দিলে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হতো। আরএম এন্টারপ্রাইজের ১৬ টনের চালান থেকে আমদানি শুল্ক আসে প্রায় ১ কোটি টাকা। এগুলো দিয়ে সিগারেট উৎপাদন হলে ভ্যাট হারাতে হতো ৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে স্মার্ট মুভের চালান থেকে শুল্ক আসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। আর সিগারেট তৈরি হলে ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়াত ৫০ কোটি টাকা। এদিকে, চালানের বিপরীতে আরএম এন্টারপ্রাইজ ও স্মার্ট মুভ তাদের অফিসের যে ঠিকানা দিয়েছিল, কাস্টমসের পরিদর্শনে সেই ঠিকানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।