শরীরকে সতেজ ও সক্রিয় রাখতে ঠান্ডা পানি হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশীয় গরম আবহাওয়ায় ঠান্ডা পানি যেন স্বস্তির আরেক নাম। গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরমে শরীর ক্লান্ত ও পানিশূন্য হয়ে পড়ে তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি মিলিয়ে দিতে পারে এক নতুন প্রফুল্লতা। শুধু আরামদায়কই নয়, ঠান্ডা পানি খাওয়ার কিছু উপকারিতাও রয়েছে যা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
গরম আবহাওয়ায় শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সময় ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা কমে এবং তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
শারীরিক ক্লান্তি দূর করে
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর ঠান্ডা পানি খাওয়া শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং ক্লান্তি দূর করে। এটি পেশিকে রিল্যাক্স করে এবং কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনে।
মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে
ঠান্ডা পানি শুধু শরীরকেই নয়, মস্তিষ্ককেও প্রশান্ত করে। গরমে ঝাঁজালো মেজাজ ঠান্ডা পানি খেয়ে অনেকটাই শান্ত হতে পারে। অনেক সময় মানসিক চাপও কমে।
বিপাকক্রিয়া (Metabolism) সাময়িকভাবে বাড়াতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি খেলে শরীর তা গরম করার জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করে। যদিও এটা খুবই অল্প, তবে নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে কিছুটা উপকার হতে পারে।
শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
গরমে ঘাম ও পানিশূন্যতা বেশি হয়। ঠান্ডা পানি খেলে শরীর দ্রুত হাইড্রেট হয় এবং পানির ঘাটতি পূরণ হয়। এটি কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
সতর্কতা: বেশি ঠান্ডা পানি খাওয়ার ক্ষতি হতে পারে
- খুব ঠান্ডা বা বরফ মিশ্রিত পানি একেবারে খালি পেটে বা খাওয়ার পরে খেলে গলা ব্যথা, হজমের সমস্যা, এমনকি গ্যাস-অম্বল হতে পারে।
- ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে কখনো কখনো সাইনাস বা ঠান্ডা লাগা বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি রক্তনালী হঠাৎ সংকুচিত করে হার্টে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ আছে।
ঠান্ডা পানি গরমে স্বস্তির প্রতীক হলেও তা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি। পরিমিত ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ঠান্ডা পানি খাওয়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং সামগ্রিকভাবে ভালো অনুভূতি এনে দেয়। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি গ্রহণ এড়িয়ে চলাই ভালো।