ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

কবর খোঁড়া-দাফন প্রস্তুতি সম্পন্নের পর জানা গেল সাবু জীবিত!

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ১১:২১ এএম
মানসিক ভারসাম্যহীন শিহাব উদ্দিন সাবু মিয়া। ছবি- সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে কবর খোঁড়া ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও, শেষ মুহূর্তে জানা গেল, যাকে মৃত ভেবে দাফন করা হচ্ছিল, তিনি জীবিত এবং বাজারে বসে আছেন! এই অবিশ্বাস্য ঘটনার জেরে পুরো জকিগঞ্জে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (২২ জুন) সকালে উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম (এতিছানগর) গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। তার মরদেহ দেখে বাবুল আহমদ নামে একজন ব্যক্তি সেটিকে নিজের বড় ভাই শিহাব উদ্দিন সাবু (৫৫) বলে শনাক্ত করেন। সাবু একজন মানসিক রোগী এবং এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে বাবুল নিশ্চিত হন যে, হাসপাতালের মৃতদেহটি তার ভাইয়ের।

এরপর আত্মীয়স্বজন নিয়ে লাশ বাড়িতে এনে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি নেন। এমনকি কবর খোঁড়াও সম্পন্ন হয়। কিন্তু দাফনের ঠিক আগ মুহূর্তে খবর আসে-সাবু আহমদ জীবিত এবং স্থানীয় গঙ্গাজল বাজারে বসে আছেন! সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় শুরু হয় হইচই।

বাবুল আহমদ জানান, খবর পাওয়ার পর তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লাশ ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। তবে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর যুব নেতা মিজানুর রহমানের অনুরোধে লাশটি দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।

রোববার বেলা ১১টায় এতিছানগর জামে মসজিদে জানাজা শেষে মরদেহটি দাফন করা হয়। জানাজা পড়ান জকিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা জালাল উদ্দিন।

তিনি জানান, বিষয়টি ওসি সাহেবকে জানিয়ে মানবিক বিবেচনায় জানাজা পড়িয়ে দেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের মৃত ব্যক্তি হাসপাতালেই মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী সিলেট পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। এর মধ্যেই আত্মীয় পরিচয়ে লোকজন এসে মরদেহ নিয়ে যান। এখন শুনছি, মরদেহটি আসলে তাদের কেউ ছিলেন না।

জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, মরদেহটি আত্মীয় পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যদিও পুলিশ তখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।