মার্কিন শুল্ক কমিয়ে আনা ইতিবাচক দিক। নতুন করে আরোপিত মার্কিন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। নানা পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে, এটা ইতিবাচক দিক। এটা অন্য দেশগুলোর তুলনায় ন্যূনতম, যা বাণিজ্যঝুঁকি হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার হ্রাস পাওয়া আশাব্যঞ্জক হলেও আত্মতুষ্টির জন্য নয়, বরং এটি একটি সুযোগ এবং একই সঙ্গে একটি সতর্কবার্তা।
উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কার জন্য মার্কিন শুল্কহার কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যেখানে আগে ছিল ৩০ শতাংশ। পাকিস্তানের হার কমে হয়েছে ১৯ শতাংশ, যা আগে ছিল ২৯ শতাংশ। বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও ভারতের ক্ষেত্রে ট্যারিফ হার ২০ ও ২৫ শতাংশ।
নতুন প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের নতুন হার এখন ২০ শতাংশ। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। নতুন করে আরোপিত হার বাণিজ্য ঝুঁকি হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানিতে বড় ধরনের বিঘ্নের ঝুঁকি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, সানেম ও অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়