- নিয়োগ বাণিজ্যেই ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ
- এডহক ভিত্তিতেই নিয়োগ দিয়েছেন ২ হাজার কর্মী
- জনপ্রতি নিয়েছেন ৫ লাখ করে টাকা
- সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে গিলেছেন হাজার কোটি টাকা
- হাসপাতালেই গড়ে তুলেছিলেন ‘পরিবারতন্ত্র’
- তবু ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে সুনজরে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), যা গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার ক্ষোভে নাম পরিবর্তন করে হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)। এমন কোনো দুর্নীতি নেই যে হাসপাতালটি ঘিরে হয়নি ওই হাসপাতালের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিনের আমলে।
শুধু নিয়োগ বাণিজ্যেই আত্মসাৎ করেছেন ১০০ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরেও এই হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নাম করে আত্মসাৎ করেছেন হাজার কোটি টাকার বেশি। একটি হাসপাতালকে কীভাবে ‘পরিবারতন্ত্রের’ নজির বানানো যায়, তা এই শারফুদ্দিন দেখিয়ে দিয়েছেন দায়িত্বে থাকাকালীন। বউ, ভাতিজা, ভাগ্নিসহ পরিবারের এমন কোনো সদস্য নেই যে তার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়নি।
তার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদিও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনো এই মেডিকেল মাফিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২১ সালের মার্চ মাসে নিয়োগ পাওয়া ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হয় গণঅভ্যুত্থানের আগে আগে ৮ মার্চ। ওই সময় তাকে একপ্রকার জোর করে নামানো হয় পদ থেকে। এমনকি শারীরিক হেনস্তারও শিকার হতে হয় তার বিদায়ের সময়। দায়িত্বে থাকাকালীন এতই অনিয়ম করেন যে হাসপাতালের সব শ্রেণির কর্মী-চিকিৎসকেরা তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে এর আগের তিন বছরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে প্রায় দুই হাজার জনকে অ্যাডহক (চুক্তিভিত্তিক) ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেন ৫ লাখ টাকা। শেষ সময়ে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য তিনি উঠেপড়ে লাগেন। নিজের বানানো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালনা করতেন এই নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্য। ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তার এই বাণিজ্য।
তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ :
নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় ২ হাজার ক্ষণস্থায়ী (চুক্তিভিত্তিক) নিয়োগ দিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য উঠেপড়ে লাগেন তিনি। প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
প্রশ্ন বিক্রি করেও হাতিয়েছেন বিপুল অর্থ :
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ জুলাই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ৫২ পদে ৫৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। পদগুলোর মধ্যে কনসালট্যান্ট পদে ৯৬ জন, মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস) পদে ৬০ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ২২৫ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়।
এ ছাড়া এই বিজ্ঞপ্তিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ), পরিচালক (আইটি), টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্টসহ সব মিলিয়ে ৫৪৪ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮ ক্যাটাগরির পদে ৪র্থ থেকে ৯ম গ্রেডে ১৭২ জন জনবল নিয়োগে পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ৬৮টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতা চাওয়া হয় বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা সমমান ডিগ্রি এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত।
এ ছাড়া এই বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থী ও বিএসএমএমইউ থেকে প্রাপ্ত পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সের সময়সীমা রাখা হয় অনূর্ধ্ব ৩২ বছর পর্যন্ত। তবে বিভাগীয় ও অভিজ্ঞ প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য বলেও উল্লেখ করা হয়, যার বেতন স্কেল হবে ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।
মেডিকেল অফিসার নিয়োগ কমিটির প্রধান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কমিটি গঠন না করে নিয়োগ কমিটি দিয়েই যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতে তাকে নানা মহল থেকে চাপ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন পরীক্ষা কমিটি গঠন না করেই পরীক্ষা নেন। নিয়োগ কমিটিতে অধ্যাপক ও ডিনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের একান্ত সচিব (পিএস-২)
দেবাশীষ বৈরাগী পরীক্ষা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০টি করে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম লঙ্ঘন করে সেই প্রশ্নপত্র রাখা হয় নিয়োগ কমিটির সভাপতি ডা. ছয়েফ উদ্দিনের কাছে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের দেওয়া প্রশ্ন থেকে দেবাশীষ বৈরাগী ও তার সহযোগীরা ৩০০ প্রশ্ন প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেন এবং তা চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে ৩০-৪০ লাখ টাকায় বিতরণ করেন। মডারেশন বোর্ডের সদস্যরা ৩০০ প্রশ্ন থেকে ১০০ প্রশ্ন বাছাই করেন এবং ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলে আগে যারা প্রশ্ন পেয়েছেন, তাদের উত্তীর্ণ হওয়া নিশ্চিত ছিল। এসব বিষয়ে ওই সময় ডা. ছয়েফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত চলছে, তাই তদন্তাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
সুপার স্পেশালাইজডে সুপার কারসাজি:
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ কার্যক্রম, যন্ত্রপাতি আমদানি থেকে শুরু করে সব কাজেই করেছেন চরম দুর্নীতি। ৭৫০ বেডের এই হাসপাতালে চালাতে লোক দরকার ২ হাজার ৭৫৮, তবে নেওয়া হয় মাত্র ৩৭৬ জন। বেশির ভাগ পদেই সুযোগ পান তার নিকটস্থরা। আর্থিক অনিয়ম ছাড়াও আছে বিতর্কিতদের নিয়োগ কমিটিতে রাখার অভিযোগ।
এ ছাড়া কথা ছিল বিশেষায়িত সেবা দিতে কনসালটেন্ট পদে এখানে আসবেন দেশসেরা চিকিৎসকেরা। তবে শুরুতেই নেওয়া হয়েছে ৪৪ জন মেডিকেল অফিসার। অভিযোগ উঠেছে, একক ক্ষমতাবলে অ্যাডহক ভিত্তিতে তাদের নিয়েছেন সাবেক এই উপাচার্য। দক্ষতা বাড়াতে প্রথম ধাপে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে চিকিৎসকসহ ১৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ নেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই এমন অসংখ্য ব্যক্তি সেখানে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে আর যোগ দেননি কাজে। এসব অনিয়মের কারণে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫৬ জনের প্রশিক্ষণ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর সবকিছু ঘটেছে শারফুদ্দিনের ইশারায়।
বছর যায়, তদন্ত শেষ হয় না:
তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, দুর্নীতি দমন কমিশন আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করলেও বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সাবেক এই ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে তাদের ব্যাংক হিসাবের তলব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে দুদক জানায়, বিএসএমএমইউর চক্ষু চিকিৎসক ও সাবেক ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে একই সঙ্গে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদক তিন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করে।
ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. নাফিজা আহমেদ, তিন সন্তান তাজবীর আহমেদ, তানবীর আহমেদ ও তাহমিদ আহমেদ সাদাত। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাদের নামে কোনো ধরনের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, মেয়াদি আমানত, লকার, সঞ্চয়পত্র, ঋণ হিসাব, ডিপিএস (চলমান, বন্ধ ও সুপ্ত অবস্থায়) বা অন্য কোনো প্রকার হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসবের পূর্ণাঙ্গ লেনদেনের বিবরণী পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে দাখিল করা সংশ্লিষ্ট তথ্যাদির রেকর্ডপত্রও পাঠাতে বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে দুদকের সচিব খোরশেদা ইসয়ামীন সাংবাদিকদের জানান, ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও তার পিএস ডা. রাসেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
শুধু তাই নয়, পিএস ডা. রাসেল ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য করে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়, যোগ্যতার ঘাটতি নিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির জন্য উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে অনিয়মের আশ্রয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ প্রদান, অনৈতিক অর্থ উত্তোলন, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমনকি দুদকও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
শারফুদ্দিনের সব দুর্নীতির সাজা চান বিশেষজ্ঞরা :
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচ্ছন্ন ইশারায় অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, তৎকালীন সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল বিএমইউর শারফুদ্দীনের নিয়োগ বাণিজ্য। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নানান খাতে সংস্কার করছে। কিন্তু এসব দুর্নীতিবাজ ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ডা. শারফুদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে একটা দৃষ্টান্ত অন্তত স্থাপন করা হোক, যাতে পরবর্তিতে কেউ এরকম দুর্নীতি আর করতে না পারে।
একই দাবি করেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নবনির্বাচিত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যেসব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর নেতৃত্বে ছিলেন এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। আমরা এমন দুর্নীতি আর চাই না কোথাও। আমরা চাই তার দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’
তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে দুদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ : অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান
ডা. শারফুদ্দিনের দুর্নীতির বিষয়ে নিজে অবগত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আপনারা জানেন বিএমইউ স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি দুদকও তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা চাই যে কারোরই শাস্তি হোক। সেটা ডা. শারফুদ্দিন হোক বা অন্য যে কেউ।
সব দায় অস্বীকার ডা. শারফুদ্দিনের :
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমদ। রূপালী বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘আমাকে দোষী করার জন্য আমার নামে অপপ্রচার করেছে। সে সময় ওই চেয়ারে যারা বসতে চেয়েছিলেন, তারা এসব ছড়িয়েছেন আমার নামে। তদন্ত তো হচ্ছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে যা শাস্তি হবে আমি তা মেনে নেব।’
 

 
                             
                                    
                                                                 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                    -20251031020255.webp) 
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন