রাজধানী ঢাকার নিত্যপণ্যের কেন্দ্রীয় পাইকারি ও খুচরা বাজার কারওয়ান বাজার ভয়ংকর দখলবাজ এবং চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের কব্জায়। প্রতিদিন সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা কয়েক লাখ টাকা ভাগ হয়ে যায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাও।
রূপালী বাংলাদেশের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে কারওয়ান বাজারের প্রতিটি আড়ত, ফুটপাত, গাড়ির স্ট্যান্ড এমনকি মাছের আড়তও নিয়ন্ত্রণ করছে এই সিন্ডিকেট। আওয়ামী সরকারের সময় কারওয়ান বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছিল দলটির নেতাকর্মীদের দখলে। তবে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের বিদায়ে বাজারের দখল রয়েছে বর্তমানে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর দখলে। এসব নব্য চাঁদাবাজ ও দখলদার চক্রকে থামাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
গত ৫ আগস্টের পর কারওয়ান বাজারের দখল ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা চাঁদাবাজদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নামে।
সম্প্রতি বিশেষ এক গোয়েন্দা সংস্থা এ বাজার ঘিরে চাঁদাবাজদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে গোটা কারওয়ান বাজার এলাকার নিয়ন্ত্রণে নব্য বিএনপিসহ দলটির পদধারী বেশকিছু নেতাকর্মী ও বিএনপিপন্থি লাইনম্যানদের নাম উঠে এসেছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই চাঁদাবাজি ও দখলদারি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তর বিএনপির সদস্য এল রহমান, তেজগাঁও থানা বিএনপি নেতা কাজী বাবু ওরফে চাঁদাবাজ বাবু, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সস্পাদক বিল্লাল হোসেন ওরফে পান বিল্লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন ওরফে পিকআপ মিলন, সাবেক বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান মোসাব্বির ওরফে চাঁদাবাজ মুসাব্বির, সাবেক যুবদল নেতা ইউসুফ মজুমদার ওরফে পিকআপ ইউসুফ, ইউনিট বিএনপির সভাপতি জামাল ওরফে ফর্মা জামাল।
এ ছাড়া তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ হোসেন ওরফে নাডা আজাদ, তেজগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন মোল্লা ওরফে মাইচ্ছা জালাল, স্থানীয় সুবিধাবাদী বিএনপি নেতা জগত মিয়ার ছেলে শাহ আলম, ইউনিট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পলাশ ওরফে চাঁদাবাজ পলাশ (জনতা টাওয়ার), বিএনপি নেতা হানিফ মাস্টার, ইউসুফ হোসেন মিন্টু ওরফে ফুট মিন্টু, খায়রুল ইসলাম সেলিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা এস এম আওলাদ, তেজগাঁও থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন আনু, বিএনপি নেতা সাঈদ ওরফে নাডা সাঈদ, বিএনপির শাহিন শিকদার ওরফে ডাকাত শাহিন (বর্তমানে জেলে বসে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে), ইউনিট বিএনপি নেতা রুবেল ওরফে ফুট রুবেল, উত্তর শ্রমিক দলের সভাপতির আপন বড় ভাই শাহ আলম ওরফে কাজী শাহ আলম, (ট্রাক স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ), বিএনপি নেতা-রিপন ওরফে কালা রিপন, চশমা হানিফ ওরফে এস আই হানিফ, নব্য বিএনপি ফারুক প্রধান, আনোয়ার ওরফে ভ্যান আনোয়ার, নব্য বিএনপি সুরুজ ওরফে টুন্ডা সুরুজ (পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টাকা দিয়ে থাকেন)।
ব্যবসায়ী ও গোয়েন্দা তথ্য মতে, এদের সঙ্গে আরও জড়িত আছেন অন্তত ৫০-৬০ জন বিএনপি নেতা। এদের কাজ দিনভর ঘুমিয়ে, রাতভর চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে নিযুক্ত থাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কারওয়ান বাজারের পল্লি ভবনের সামনে পিকআপ স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন পিকআপ মিলন ও পিকআপ ইউসুফ। তারা দুজনে এখান থেকে চাঁদার টাকা তোলেন এবং নেতাদের মধ্যে ভাগ করে দেন। এদের চাঁদাবাজির স্থান সোনারগাঁও হোটেল থেকে জনতা টাওয়ার পর্যন্ত এবং ডিআইটি মার্কেটের চারপাশ ও মাছ বাজার এলাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কারওয়ান বাজার পেট্রোবাংলার সামনে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ ছাড়াও একুশে টিভির সামনের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন গাড়ি প্রতি আঠারশ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এই লাইনে ২০টি মাইক্রো চলাচল করে থাকে। সে হিসাবে এখান থেকে প্রতিদিন ৩৬ হাজার টাকা চাঁদা ওঠে। পিকআপ মিলন, পিকআপ ইউসুফ, বিল্লাল হোসেন, ফর্মা জামাল এসব চাঁদা তোলেন।
পাশাপাশি কাব্যকস সুপার মার্কেটের সামনে স্বপ্ন ডেইলি শপের গাড়ি থেকে প্রতি মাসে দেড় লাখ চাঁদা আদায় করেন- পিকআপ মিলন ও বিল্লাল হোসেন। এ ছাড়াও তারা বাপেক্স ভবনের সামনে মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে নব্বই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ ছাড়াও কিচেন মার্কেটের পশ্চিম পাশের ছয়টি ফুটপাত থেকে প্রতিরাতে আনুমানিক ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা করে মাসে ৯ লাখ টাকা আদায় করে ফর্মা জামাল, লম্বা রুবেল, ইউসুফ হোসেন মিন্টু ওরফে ফুট মিন্টু, ফারুক ওরফে লেংড়া ফারুক, শ্রমিক লীগের ইসমাইল ও পিকআপ মিলন নিজেদের মধ্যে ভাগ বণ্টন করে নেন।
কারওয়ান বাজারের ২নং সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশে রয়েছে অন্তত ১৫০টি আড়ত। এসব আড়তের ঘরপ্রতি চার হাজার টাকা করে প্রতিমাসে আনুমানিক ১৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হয়। যা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান মোসাব্বির, কাজী বাবু, আজাদ ওরফে নাডা আজাদ, বেল্লাল হোসেন ওরফে পান বেল্লাল, জিএম জাহাঙ্গীর, চশমা হানিফ, রিপন ওরফে কালা রিপন, রাসেল ওরফে জংলি রাসেল, মাসুদ ওরফে ভ্যান মাসুদ, সুমন ওরফে ধইন্যা পাতা সুমনের লোকজন ভাগ বণ্টন করে নেন।
এ ছাড়াও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে ওয়াসা ভবনের পূর্ব পাশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি রাতে সবজি নিয়ে আসে অন্তত ৪০টি ট্রাক। এসব ট্রাকপ্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। এ গলির চাঁদার টাকার ভাগ পায়Ñ পেঁপে পট্টি ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন পাটোয়ারী, তার ছেলে বিএনপি নেতা মো. লিটন, আজিজুর রহমান মোসাব্বির, আজাদ ওরফে নাডা আজাদ, শাহ আলম ওরফে জগত মিয়ার ছেলে শাহ আলম, মিলন ওরফে পিকআপ মিলন, বেল্লাল ওরফে পান বেলাল হোসেন, পলাশ, হানিফ মাস্টার, রাসেল ওরফে জঙ্গি রাসেল, মিন্টু ওরফে ফুট মিন্টু, ইউসুফ মজুমদার ওরফে পিকআপ ইউসুফসহ অন্যরা।
১নং ডিআইটির মার্কেটের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ পাশের ফুট, ট্রাক পার্কিং, চায়ের দোকান, মার্কেটের সিঁড়ির নিচে বিকাশের দোকান, বিভিন্ন দোকান হতে চাঁদা আদায় করেন ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। সঙ্গে রয়েছে তার শ্যালক ফর্মা রুস্তম। অন্য সহযোগীরা হলেন ফর্মা জামাল ও সেলিম। তারা প্রতিমাসে এসব স্থান থেকে ৮ লাখ টাকার বেশি চাঁদা তোলেন। এ ছাড়াও বাপেক্স ভবনের সামনে থেকে মসজিদ গলি পর্যন্ত প্রতি রাতে অন্তত ৪০ হাজার টাকা করে মাসে ১২ লাখ টাকার চাঁদার ভাগ নেন শাহ আলম, সাইকেল বাদশা, ইউসুফ হোসেন মিন্টু ওরফে ফুট মিন্টু, জামাল ওরফে ফর্মা জামাল।
এ ছাড়া কারওয়ান বাজার মাছের আড়ত এলাকায় একক নিয়ন্ত্রণ করেন বিএনপির ১১ জন নেতা। তার হলেন- জালাল মোল্লা ওরফে মাইচ্ছা জালাল, আজাদ ওরফে নাডা আজাদ, আজিজুর রহমান মোসাব্বির, টুন্ডা সুরুজ, গিয়াস ওরফে ফুট গ্যাস, বাবুল ওরফে কান কাটা বাবুল, বাবু ওরফে সাতক্ষীরা পটির বাবু, নুরু মিয়ার ছেলে শরীফ, নুরু মিয়ার ভগ্নিপতি তাজুল ইসলাম, শাজাহান ওরফে ন্যাড়া শাজাহান, ডাবলু ওরফে চাঁদাবাজ ডাবলু। মূলত তারাই মাছের বাজারের অবৈধ দোকান, ফুটপাত, শ্রমিকদের চাঁদা, বরফের ব্যবসা, ময়লা, ককশিট ও পলিথিন, ভ্যান ও ট্রাক থেকে মালামাল লোড আনলোডসহ এখানকার সবধরনের কর্মকা-ের ওপর চাঁদা আদায় করেন। বিএনপি নেতা টুন্ডা সুরুজ থানা পুলিশ, ডিবিসহ অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় সাবেক কমিশনার ও মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও কয়েকজন সাংবাদিককে মাসিক নির্দিষ্ট হারে টাকা দিয়ে থাকেন।
কারওয়ান বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী রহিম মিয়াসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এখানে ৫ আগস্টের পর নতুনভাবে চাঁদাবাজদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। আমাদের ব্যবসা করতে বলে নীরবে চাঁদা দিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ ওরফে নাডা আজাদ রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কিছু সুবিধাবাদীরা এসব অপর্কম করছে। এসবের সঙ্গে আমি জড়িত নই।
অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা টুন্ডা সুরুজ রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আমি এই মুহূর্তে গ্রামে রয়েছি। ঢাকা গিয়ে আপনার সঙ্গে কথা হবে। একসঙ্গে চা খাবো, আপাতত কারো কথা শুইনেন না। আমার সঙ্গে চা খাওয়ার পর আপনি সব বুঝতে পারবেন।
এদিকে তেজগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন মোল্লা রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আমরা এসবের মধ্যে নেই। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ পলাতক বলে কিছু লোক হয়তো এসব করে। তবে এখানকার চাঁদাবাজিটা ভিন্ন, এখানে সবাই ব্যবসা করে।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুধু চাঁদা নয়, যেকোনো অভিযোগ পেলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। অতীতে কোনো দল এত বড় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত সাড়ে ১৬ বছরের জুলুম নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে আমাদের দলের হাইকমান্ড। কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।’
জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দখলবাজ, চাঁদাবাজ কিংবা সমাজবিরোধী কেউ এই দলে স্থান পাবে না। বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরনের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার বা দখলদারির অভিযোগ থাকে তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদাবাজদের পুলিশ কেন ধরছে না। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন সোচ্চার নয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশই তো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে এসব চাঁদাবাজরা ধরা পড়ে।
কারওয়ান বাজারের চাঁদাবাজিতে বিএনপি নেতা ও পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তেঁজগাও থানার ওসি মো. মোবাররক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপি নেতারা জড়িত কি না আমার জানা নেই। আমাদের পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তথ্য দিন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বর্তমানে আমাদের হাতে নেই। কেউ না কেউ হয়তো জড়িত কিন্তু আপাতত কিছু করার নেই।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, যারা চাঁদাবাজদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা অনেক সময় পুলিশের কাছে যেতে চায় না। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পুুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন