রোমাঞ্চ ছড়ানো জয়ে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের (ইমাজিং এশিয়া কাপ) ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে সুপার ওভারে হারায় আকবর আলীর দল। কাতারের দোহায় আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে তারা। জবাবে ভারতও ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে পর পর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে কোনো রান করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলে উইকেট হারায়। তবে পরের বলটি ওয়াইড হওয়ায় বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু ১৫ রান তুলে খেলা সুপার ওভারে নিয়ে যায় তারা। সুপার ওভারে তিনজন ব্যাটিং করার সুযোগ পান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রিপন ম-লের পর পর বলে উইকেট হারান ভারতের দুই ব্যাটসম্যান। তাতে স্কোর বোর্ডে কোনো রানই তুলতে পারেনি তারা। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তবে সুইয়াস শর্মা পরের বল ওয়াইড দিলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শুরুটা বেশ দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও শেষদিকে মেহরবের ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বৈভব সূর্যবংশির ভারত। আসরে দারুণ পারফর্ম করা হাবিবুর রহমান সোহানের ৬৫ রানের পর ছয়ে নামা মেহরাবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ইনিংসে ৬ ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান আসে আকবরদের বোর্ডে। দলীয় ৪৩ রানে জিশান আলম সাজঘরে ফেরেন ২৬ রান করে গুরজপনিত সিংয়ের বলে। হাবিবুর রহমান সোহানের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন জাওয়াদ আবরার। দলীয় ৭৬ রানে তিনিও ধরেন সাজঘরের পথ ১৩ রান করে রমনদিপ সিংয়ের বলে। মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছেন অধিনায়ক আকবর আলী। হার্শ দুবের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ১০৮ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। ০ রানে আউট হয়েছেন আবু হায়দার রনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে দলের স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা চালান সোহান। তবে তিনিও থামেন ৬৫ রান করে দলীয় ১২৬ রানে। পতন হয় পঞ্চম উইকেটের। ১ রান করে আউট হয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১৩০ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৫০ রানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করাবে, এমনটাই মনে হচ্ছিল। তখনই ব্যাট হাতে জেগে ওঠেন মেহরব।
১৮তম ওভারে গুরজপনিত সিংকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু। এরপর নামান ধিরকে ১৯তম ওভারে ছক্কা হাঁকান ৪টি ও চার মারেন ১টি। সেই ওভারে নেন ২৮৫ রান। শেষ ওভারে ইয়াসির আলী রাব্বি দুই চার ও ১ ছক্কা মারেন বিজয় কুমারকে। শেষ বলে ছক্কা মারেন মেহরব। ফলে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ১৮ বলে ৪৮ রান করে মেহরব ও ইয়াসির অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৭ রান করে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট পেয়েছেন গুরজপনিত সিং। একটি করে পেয়েছেন হার্শ দুবে, সুয়াশ শর্মা, রমনদিপ সিং, নামান ধির।

