প্রাইভেট টিউশন, কোচিং সেন্টার ও গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরতার বিষয়ে কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারের সংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে এদের প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁকও বাড়ছে। কেন এ চাহিদা তৈরি হচ্ছে, কেন শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছেÑতা খুঁজে বের করতে হবে। শুধু কোচিং সেন্টার বন্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হবে কি না, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। এখানে রাষ্ট্রের করণীয় কী, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে।’
গতকাল বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতির সেমিনারে এ কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষায় অনেক দুর্বলতা রয়েছে। আমরা হয়তো দায়িত্বে থাকব না কিন্তু কিছু জিনিস আমরা হয়তো দিয়ে যেতে পারছি; যেগুলো পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব নেবে তারা এগুলো করবেন।’
শিক্ষাব্যবস্থাকে পেছনে ফেলে দেওয়ার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এসএসসি-এইচএসসির রেজাল্ট- সেটার যে একটা বিশাল সমারোহ, তার মধ্যে আমরা এটা দেখেছি। সব ছাত্রই লিখে নম্বর পাবে- এটা না হয়ে রাষ্ট্র তাদের নম্বর উপহার দেবে- এটা একেবারেই খারাপ বিষয় ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি এটা বাদ দেওয়ার এবং আমার মনে হয় সেটা থেকে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ও ছাত্ররা উপকৃত হয়েছি। নিজেদের সাকসেস প্রক্রিয়াকরণ আমাদের নিজেদেরই করতে হবে।’

