ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

বাতের ব্যথা কেন হয়, যেভাবে সুস্থ থাকবেন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ১২:২৩ এএম

বাত ব্যথা দুই ধরনের হয় একটা ক্ষয়জনিত আরেকটা প্রবাহজনিত। ক্ষয়জনিত বাত ব্যথা কেন হয় তা আমরা সবাই মোটামুটি জানি কোমর ব্যথার রোগীরা বেশি ক্ষয়জনিত কারণে হয়। বাত ব্যথার একটি সাধারণ সমস্যা রিমোটিক আর্থ্রাইটিস, বিস্তারিত জানাচ্ছেন, ডা. সৈয়দা মনি চৌধুরী।

রিমোটিক আর্থ্রাইটিস কি : রিমোটিক আর্থ্রাইটিস হলো বাত ব্যথার কমন একটি রোগ। এটা হলে হাতের গিরাতে প্রথমে ব্যথা শুরু করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ খুলতে পারে না, নড়াচড়া করতে পারে না। ধীরে ধীরে কাজ করতে থাকলে তখন জ্যামটা খুলে যায়। এটা হলো রিমোটিক আর্থ্রাইটিস। এটা যে শুধু গিরাতে ব্যথা হবে তা নয়, হাঁটুতে হাতের গিরায় সব জায়গায় হতে পারে।

কীভাবে নির্ণয় করা যাবে : সিবিসি টেস্ট করে সহজে এই রোগীদের নির্ণয় করা সম্ভব। যে গিরায় ব্যথা আছে সেটার এক্স-রে করে দেখতে হবে সেটার ক্ষয় হয়েছে কি-না। এন্টিসিসিপি এন্টিবডি পরীক্ষা করে দেখতে হবে সেই গিরা কি অবস্থায় আছে। এই টেস্টগুলো করে সহজে রিমোটিক আর্থ্রাইটিস রোগ নির্ণয় করা যায়।

কখন বাত ব্যথা হয় : বাত ব্যথা শুরু হয় ত্রিশ বছরের আগে এর পরেও হতে পারে। এই রোগ হলে শুধু ওষুধ খেয়ে বাসায় বসে থাকলে এক সময় হাত-পা বাঁকা হয়ে যেতে পারে। কাজও ঠিকমতো করা যায় না। হাঁটা চলাও ঠিকমতো করতে পারবে না। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় করে তার চিকিৎসা করা উচিত।

চিকিৎসা কি : এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হলোÑ ব্যথা প্রদাহরোধকারী ওষুধ, যা ফার্মেসিতে সহজে পাওয়া যাবে না, এটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবেন এবং পরিমাপ অনুযায়ী দেবেন, সেই অনুপাতে খেতে হবে। কারণ এই ওষুধ কিডনিতে চাপ পড়ে। এই ওষুধের কাজ করতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। অনেক সময় এক বছর এই ওষুধ খাওয়ার পর আর খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে কিডনিতে চাপ পরে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।