শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

জাতীয় নির্বাচন

ভোটের মাঠে তিন স্তরে নিরাপত্তা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ থাকছে সেনা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

ভোটের মাঠে তিন স্তরে নিরাপত্তা, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ থাকছে সেনা

* ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখতে চায় ইসি
* দ্রুত ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়ন চান কর্মকর্তারা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ভোটের মাঠে তিন স্তরে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ। এর জন্য প্রয়োজনে বিচ্ছিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বসা হবে। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্বে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, অন্যান্য বারের মতো তারাই নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা (কীভাবে কাজ করবেন, কী করবেন না) প্রদান করবে। সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য একটি পর্যবেক্ষণ সেল গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপরেই ছেড়ে দিতে চায় সংস্থাটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, অপতথ্য মোকাবিলায় ইউএনডিপির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রণালয়, সিআইডি এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই সক্ষম সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। যোগাযোগ কৌশলে দ্বিমুখী প্রবাহ নিশ্চিত করা হবেÑ ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে। অর্থাৎ তৃণমূল থেকেও তথ্য উপরে যাবে এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে; শুধু নির্দেশনা ওপর থেকে নিচে নয়।

আখতার আহমেদ জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন পরিকল্পনাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী মোতায়েন, কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মী এবং বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী চেকপোস্ট (মোবাইল চেকপোস্টসহ)। মোবাইল ইউনিটগুলো ঘুরে ঘুরে নজরদারি করবে। একটি ইউনিট কতটি কেন্দ্র দেখবে, তা সংশ্লিষ্ট বাহিনী ভৌগোলিক অবস্থান, সড়ক-সংযোগ ইত্যাদি বিবেচনায় নির্ধারণ করবে। কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স, প্রধান রিজার্ভ শক্তি হিসেবে প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স দ্রুত চলাচল ও প্রতিরোধমূলক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত থাকবে। এনটিএমসি এবং পূজার সময় ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কাজে লাগানো হবে।

ইসি সচিব বলেন, সবসময় একটি বিকল্প পরিকল্পনা (‘এ’ কার্যকর না হলে) প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে একই সঙ্গে দুই-তিনটি স্থানে সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সীমিত নেটওয়ার্কের স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা সেবাদাতাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। বডি-ওর্ন ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হারানো বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। সন্ত্রাসীদের নজরদারি করে প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনতে হবে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি, বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং তারা তা প্রয়োগ করবে। বিদেশ থেকে আসা পোস্টাল ভোটের জন্য এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁও ডাক বাছাই কেন্দ্রে দ্বিগুণ নিরাপত্তা দিতে হবে। বাছাই থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছানো, সংরক্ষণ ও গণনা সব পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ইসি সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে যেন কোনো আপ্যায়ন গ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহনের সংকট মোকাবিলায় দপ্তরের যানবাহন অধিগ্রহণ বা ভাড়ায় সংগ্রহের বিষয়ে বাহিনী বাস্তবসম্মত সমাধান দেবে। এদিকে নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরায় ব্যবহার ভোটের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে সেগুলোর তদারকি করার লোকবল কমিশনের নেই। যে কারণে সংস্থাটি সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিজেরা করতে চায় না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্রহের কারণে তাদের মাধ্যমেই বিষয়টি বাস্তবায়নের পক্ষে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটি।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা কার্যপত্র বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা জন্য যেকোনোভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে কার্যকর মনিটরিং ও দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য ইসির কাছে আর্থিক সহায়তা চাইলে কমিশন সেই বিষয়টিতে কিছু করার নেই বলে জবাব দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন যেসব প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোই ব্যবহার করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এরই মধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের তালিকা পাঠাতে বলেছে।

এসব বিষয় নিয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এ ছাড়া অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি। এদিকে পুলিশের এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৮ হাজার ২২৬টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ২০ হাজার ৪৩৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৭ শতাংশই এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্থাটি ভোটকেন্দ্রের ভৌত অবকাঠামো, থানা থেকে দূরত্ব, কেন্দ্রের নিকটবর্তী প্রভাবশালীদের বাসস্থান ইত্যাদি বিবেচনায় কেন্দ্রের ধরন নির্ধারণ করেছে। বৈঠকে কী পরিমাণ ফোর্স নিয়োগ হবে সে বিষয়টিও চূড়ান্ত হতে পারে। ইসি কর্মকর্তা বলছেন, গণভোট ও সংসদ ভোট একসঙ্গে হওয়ায় নতুন করে নিরাপত্তা ছক কষতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়তে পারে ফোর্স মোতায়েন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেট্রোপলিট্রন এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন পুলিশ, আনসার  ও গ্রাম পুলিশের সদস্য নিয়োজিত ছিল।  মেট্রোপিলিটন এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য নিয়োজিত ছিল। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২ জন ও আনসার ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিরি ১ হাজার ১১৫ প্লাটুন, কোস্টগার্ড ৭৫ প্লাটুন, র‌্যাব ৬০০ টিম, সেনাবাহিনী ৩৮ হাজার ১৫৪ জন, নৌবাহিনী দুই হাজার ৮২৭ জন নিয়োজিত ছিল। নির্বাচন কমিশন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে বোঝায়। এবার দুটি ভোট একসঙ্গে হওয়ার এ সংখ্যা বাড়তে পারে।

অন্যদিকে ভোটের নিরাপত্তায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ; বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ; মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অধিক সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন; সারাদেশ থেকে পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী অপসারণ; নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় নির্ধারণ; ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নির্বাচনি এলাকা তথা সমগ্র দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

এ ছাড়া নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; পার্বত্য/দুর্গম এলাকায় নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহণ এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান; রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের বাসস্থান ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ বাসস্থানের নিরাপত্তা জোরদারকরণ; এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্বপালনকালে পুলিশ ফোর্স নিয়োজিতকরণ; নির্বাচনি আইন, বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে করণীয় নির্ধারণ; নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন পরিকল্পনা; গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের মতামত/পরামর্শের আলোকে শান্তিশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ; নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিক ও প্রাক-পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদান; অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ; গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা প্রদান; প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রচার রোধের কৌশল নির্ধারণ; ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ নিয়েও বেঠকে আলোচনা হবে।

দ্রুত ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়ন চান কর্মকর্তারা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই সকল পদ আপগ্রেডেশনসহ দ্রুত ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্তও নিয়েছে উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে উপজেলা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে ২৫ নভেম্বর রাতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে সুষ্ঠু সমন্বয়ের স্বার্থে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ ৬ষ্ঠ গ্রেডে, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ ৯ম গ্রেডে এবং সকল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদ ৫ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের পূর্বেই পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে হবে। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে আচরণবিধির সুষ্ঠু প্রতিপালন নিশ্চিত করতে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য ডাবল-কেবিন পিকআপ এবং সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য মোটরসাইকেল সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার পদে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের পদ রাজস্ব খাতে রূপান্তর এবং ২০২৩ সালে প্রণীত বৈষম্যমূলক এনআইডি আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!