সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্তের বাটরাই এলাকায় প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর সাতটি পরিবারের ১৯ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ৯ জন নারী ও পাঁচ শিশু রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন নিজেদের নড়াইল জেলার, বাকিরা কুষ্টিয়া ও খুলনার বাসিন্দা বলে দাবি করেছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ জানান, বিজিবির মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর রাংপানি সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ১৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, আটজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আটক ব্যক্তিরা ৯টি পরিবারের সদস্য এবং তারা যশোর, নড়াইল, বরিশাল, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট ও সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক যাচাইয়ে জানা গেছে, তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাশার মো. বদরুজ্জামান জানান, আটককৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, একই দিন সকালে ছাতক উপজেলার নোয়াকুট সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। আটক ব্যক্তিরা জানায়, তাদের বাড়ি সিলেট (তিনজন), যশোর (পাঁচজন), নড়াইল (চারজন) ও সাতক্ষীরা (আটজন) জেলায়। বিজিবি জানায়, সীমান্তে ঠেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটক করা হয়। বর্তমানে তাদের ছাতক থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।