বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৮:১৩ এএম

পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের নতুন তথ্য

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৮:১৩ এএম

পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের নতুন তথ্য

আমাদের সৌরজগতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা ও গবেষণার শেষ নেই। মহাকাশবিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর বাইরেও থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব কিংবা প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ। তবে সাম্প্রতিক এক আবিষ্কার দীর্ঘদিনের এ ধাঁধার জট খুলছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে এক নতুন গ্রহÑ এল ৯৮-৫৯এফ, যেটি অনেকটা পৃথিবীর মতো। পৃথিবীর তুলনায় বড় হওয়ায় বিজ্ঞানীরা এর নামও দিয়েছেন ‘সুপার আর্থ’।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুপার আর্থ অবস্থান করছে ‘হ্যাবিটেবল জোন’-এ। এটি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে তরল পানির অস্তিত্ব সম্ভব, অর্থাৎ প্রাণ সৃষ্টির উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। পৃথিবী থেকে ৩৫ আলোকবর্ষ বা প্রায় ৩৩১ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকা লাল বামন তারকা এল ৯৮-৫৯-এর চারপাশে আবর্তনকারী পাঁচটি গ্রহের মধ্যে এটি সর্বশেষ আবিষ্কৃত। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব মনট্রিয়লের ট্রোটিয়ের ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অন এক্সোপ্লানেটস (আইআরইএক্স)-এর গবেষক দল এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন।

গবেষণার প্রধান লেখক ক্যাডিয়ু বলেন, ‘এল ৯৮-৫৯ গ্রহপুঞ্জ নিয়ে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ চিত্র। মহাকাশ ও পৃথিবী থেকে সংগৃহীত তথ্য একত্র করে আমরা কতটা অগ্রসর হতে পারি, এই গবেষণা তার বড় প্রমাণ।’ তিনি আরও জানান, এই গ্রহটি ভবিষ্যতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিশ্লেষণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য হয়ে উঠবে।

প্রাণ ধারণের মতো পরিবেশ কি সত্যিই রয়েছে এখানে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন গ্রহ এল ৯৮-৫৯এফ একটি প্রায় বৃত্তাকার কক্ষপথে তার নিজস্ব নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে এবং পৃথিবীর মতোই তার কাছ থেকে শক্তি গ্রহণ করে। এর ভর পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ২.৮ গুণ বেশি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ গ্রহে যদি বায়ুম-ল থাকে, তবে সেখানে তরল পানি, কার্বন ডাই-অক্সাইড, এমনকি জীবনের ইঙ্গিতদায়ী উপাদান (নরড়ংরমহধঃঁৎবং) থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ গ্রহের আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, ২০১৯ সালে নাসার মহাকাশ টেলিস্কোপ এল ৯৮-৫৯ তারার চারপাশে প্রথম তিনটি গ্রহ শনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির স্পেকট্রোগ্রাফ চতুর্থ গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে। সর্বশেষ আইআরইএক্স-এর গবেষকরা পঞ্চম গ্রহ এল ৯৮-৫৯এফ শনাক্ত করেন, যার অবস্থান তারার ‘হ্যাবিটেবল জোনে’Ñ এই অঞ্চলেই তরল পানি থাকতে পারে।

আইআরইএক্স পরিচালক ও গবেষণার সহ-লেখক রেনে দোয়ঁ বলেন, ‘এল ৯৮-৫৯-এর মতো একটি বৈচিত্র্যময় গ্রহপুঞ্জ আমাদের জন্য একটি প্রাকৃতিক পরীক্ষাগার। এখানে আমরা জানতে পারি, সুপার-আর্থ ও সাব-নেপচুনগুলো কী দিয়ে গঠিত, ছোট তারার চারপাশে গ্রহ তৈরির ধরন কেমন এবং এ ধরনের পাথুরে গ্রহগুলো দীর্ঘ সময় ধরে কীভাবে বায়ুম-ল ধরে রাখে।

এ গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এবং আগামীতে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণার মাধ্যমে একদিন হয়তো জানা যাবে, এ মহাবিশ্বে আমরা একা নই। 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!