জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামিকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এরপর ঘটনার তদন্তে চিকিৎসক দ্বারা শরীর পরীক্ষা করিয়ে আঘাতসংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।
আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে আসামি মাসুদ রানাকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে আদালত মাসুদ রানার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এ ছাড়া, সিভিল সার্জনকে ১৭ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত মার্চে আক্কেলপুর ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় ও আদালতে আটটি মামলা দায়ের হয়। আসামিরা হলেনÑ শাখার মালিক জাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা। তারা কারাগারে ছিলেন। ৪ আগস্ট তিন আসামিকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে আনা হয়। এই সময়ে মাসুদ রানা পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
মাসুদ রানা আদালতে জানান, এসআই গোলাম রব্বানী তাকে জানালার সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেছেন। শরীরের ক্ষতচিহ্ন আদালতে দেখানো হয়। এ ছাড়া তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি নন এবং পুলিশি নির্যাতনের কারণে আইনগতভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত দেন।
এসআই গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আমি কাউকে নির্যাতন করিনি। মাসুদ রানা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে এবং মামলা থেকে বাঁচতে এমন অভিযোগ করছে।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, এসআই গোলাম রব্বানীর অপেশাদার আচরণের কারণে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত ও প্রশাসন দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :