ঢাকা শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চবি শিক্ষার্থীর মাথার খুলি ফ্রিজে

‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৬:১২ এএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়ার মাথার খুলির ১৩ টুকরো অপারেশনের পর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর খুলিটি পুনরায় লাগানো হবে। ইতিমধ্যে মামুনের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তার মাথায় লেখা রয়েছেÑ ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’।

গত ৩১ আগস্ট স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুন মারাত্মকভাবে জখম হন। এরপর চার ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশনে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়। এতে কানের পর্দা ফেটে যায় এবং নাক-মুখ দিয়েও রক্তক্ষরণ হয়। টানা চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত বুধবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

মামুনের সহপাঠীরা জানান, বর্তমানে তিনি ইশারার মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন এবং শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভালো থাকলে এক মাসের মধ্যে খুলি পুনঃস্থাপন সম্ভব হতে পারে।

চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মামুনের ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়, যার কারণে খুলি খুলে সংরক্ষণ করতে হয়েছে।

তবে অপারেশনের পর মামুনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, মামুন এখন মোটামুটি ভালো আছেন। তবে মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে আবারও অপারেশন করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার এক নারী শিক্ষার্থীর রাত ১১টায় বাসায় ঢোকা নিয়ে বিল্ডিংয়ের দারোয়ানের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় ওই নারী শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় প্রায় ২২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার পর মঙ্গলবার ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলার পর আটজনকে গ্রেপ্তার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ।