ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার

বন বিভাগের সাড়ে পাঁচ একর জায়গা উদ্ধার

কক্সবাজার ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম
  • হাজারের অধিক সুপারি চারা উৎপাটন
  • সদ্য নির্মিত পোল্টি ফার্ম সদৃশ স্থাপনা ও অস্থায়ী ঘেরা বেড়া উচ্ছেদ

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের লিংক দক্ষিণ মুহুরী পাড়া এলাকায় জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বনভূমি দখল করে রোপিত হাজারের অধিক সুপারি চারা উৎপাটন, সদ্য নির্মিত পোল্টি ফার্ম সদৃশ স্থাপনা ও অস্থায়ী ঘেরা বেড়া উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে এ অভিযান। 

জানা গেছে, কক্সবাজার রেঞ্জের লিংক রোড বিট কাম চেক স্টেশনের আওতায় দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার রক্ষিত বনভূমির শামসুরঘোনা নামক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগ ও ভূমিদস্যুদের মাঝে চলছে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। 

এ বনভূমিতে ২০০৭-০৮ সালে ৪০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। এর মধ্যে টিকে থাকা মাত্র ১০ হেক্টর বাগান ২০২২-২৩ সালে খাড়াগাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে কর্তন করা হয়। মূলত সেই জায়গাটি দখল নেওয়ার জন্য কয়েকটি বনদস্যু চক্র উঠেপড়ে লাগে।  

গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী অরাজক পরিস্থিতিতে বনদস্যুদের এই তৎপরতা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। জবরদখল ঠেকাতে ৫ আগস্টের আগে ও পরে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ এ বিষয়ে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে।

সর্বশেষ গতকাল শনিবার পুনরায় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের নির্দেশনায়, সহকারী বন সংরক্ষকের তত্ত্বাবধায়নে কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হকের নেতৃত্বে বনকর্মীরা জবর দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানে ঘেরাবেড়া, সদ্য রোপিত সুপারি চারা, নির্মাণাধীন অস্থায়ী পোল্ট্রি ফার্মসহ আশপাশের সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওই অভিযানে আনুমানিক সাড়ে ৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। 

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের জায়গাটি ২০০৭-০৮ সালের সামাজিক বনায়ন এলাকা যা ইতোপূর্বেই তৎকালীন আওয়ামীপন্থি সন্ত্রাসীরা একাধিকবার দখলের চেষ্টা করে যা বিভিন্ন সময়ে প্রতিহত করা হয়। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনে পর কয়েকটি ভূমিদস্যু চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে ওই জায়গাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যা তৎকালীন বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শোভন, বিটের স্টাফ, সিপিজি সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে প্রতিহত করে। তারপরও জবরদখল অপচেষ্টা অব্যাহত থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সহযোগিতায়ও একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় জবরদখল প্রতিরোধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার অভিযান পরিচালনা করে দখলকৃত বনভূমি পুনরায় উদ্ধার করা হয়। বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।