কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদ-ীতে ছুরিকাঘাতে আমজাদ হোসেন নামে এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় চৌফলদ-ী ইউনিয়নের নতুন মহাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে চৌফলদ-ীতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জামায়াত, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে আমজাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় আমজাদ হোসেনের শরীর। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত আমজাদ হোসেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনের ছোট ভাই এবং নতুন মহাল ইউনিট জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করার জন্য প্রবাস থেকে দেশে আসেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের ভাই সাদ্দাম হোসেনের দাবি, তার ভাই আমজাদকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা করেছে।
এদিকে সোমবার রাতে আমজাদ হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও যুবদল। এ সময় হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এ সময় হত্যাকা-ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত দাবি করে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নিহত হাফেজ আমজাদ হোসেনকে জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সদর উপজেলার চৌফলদ-ী ইউনিয়নের নতুন মহাল বাজার ইউনিটের সেক্রেটারি দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা রাফিসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমজাদকে হত্যা করে বলে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেন ইসলামী ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহিম নুরী।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে পুলিশ আটক করেছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।