শারদীয় দুর্গাপূজার ম-পে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কিছু ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগী ও বুদ্ধিজীবীদের ইন্ধনে কয়েকটি পূজাম-পে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি ও সহিংসতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল, কিন্তু সবার সহযোগিতায় আমরা এই কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।
গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কমিটির মিটিং প্রতি সপ্তাহেই হয়। এতে আমাদের দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরে গত শারদীয় দুর্গাপূজার সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু আলোচনা হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাদক, রোহিঙ্গাদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ম-পে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশ দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের যে সংবাদ পাওয়া গেছে এবং অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যেও তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজাম-প কমিটির সহযোগিতা এই কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় খাগড়াছড়ির ঘটনায় ভারতকে দায়ী করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের জবাব দেননি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভালো জানেন। এ সময় দেশপ্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চান তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন