বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের ২৫ পরিচালকের মধ্যে দুজন নির্বাচিত হন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায়। গত সোমবার বিসিবি নির্বাচনের দিন এনএসসি কর্তৃক দুই মনোনীতি পরিচালকের মধ্যে একজন ছিলেন ব্যবসায়ী ইসফাক আহসান। কিন্তু বিসিবির নির্বাচনের পরপরই সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত বদলায় এনএসসি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ইসফাকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এবার তার জায়গায় বিসিবির নতুন পরিচালক হলেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। গতকাল বিসিবি পরিচালক হিসেবে তাকে মনোনীত করে এনএসসি।
পরিচিত মুখ রুবাবা দৌলা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকল বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন। রুবাবা দৌলা সম্পৃক্ত ছিলেন খেলাধুলার সঙ্গেও। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্যও ছিলেন রুবাবা দৌলা। রুবাবা দৌলা গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও পরিচিত মুখ ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল গ্রামীণফোন। ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে ভূমিকা ছিল রুবাবারও। জানা গেছে, বিসিবিতে নারী উইংয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি। এর আগে তিন ক্যাটাগরি থেকে বিসিবিতে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
এনএসসি কোটায় বিসিবি পরিচালক মনোনীতি হয়েছিলেন ইশফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইশফাক আহসানের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনএসসি। তার জায়গায় পরিচালক হন রুবাবা দৌলা।